Also read in

শুক্রবার শিলচর মেডিক্যালে করোনায় মারা গেলেন চার ব্যক্তি, ক্রিটিক্যাল আরও অনেকেই

এই বছর এখনও বরাক উপত্যকায় একদিনে করোনায় মারা যাওয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল দুজন। তবে শুক্রবার এই রেকর্ড ভেঙে একই দিনে পরপর চার ব্যক্তির মৃত্যু হলো। এরমধ্যে রয়েছেন শিলচর অম্বিকাপট্টির দেবাশিস দেব (৬৫) যিনি সম্প্রতি কুম্ভ মেলা ফেরত এবং ইতিমধ্যে তার করোনার ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়া হয়ে গেছিল। মাত্র ২৬ বছর বয়সের কাটলিছড়ার উদীয়মান খেলোয়াড় পাপ্পু নাথ এদিন করোনায় মারা গেছেন। এছাড়া শিলচর ট্রাঙ্ক রোডের পুলিশ কোয়ার্টারের মণি রানি দাস (৬৫) এবং বিহারা পঞ্চম খন্ডের জালাল উদ্দিন বড়ভূঁইয়া (৮০) শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের ৪০ টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ৩৩টিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চলছে। ৭ জন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন যাদের অবস্থা ক্রিটিক্যাল এবং ১৭ জন অক্সিজেন সাপোর্টে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে মোট ৬৫ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে, তাদের বিভিন্ন উপসর্গ রয়েছে।

হাসপাতালের পক্ষ থেকে ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, এদিন সকালে ৮ টা ১৫ মিনিটে শিলচর ট্রাঙ্ক রোডের পুলিশ কোয়ার্টারের মণি রানি দাস মারা যান, তিনি ২৪ এপ্রিল শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তাকে একসময় ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

শিলচর অম্বিকাপট্টির দেবাশিস দেবের মৃত্যু হয় সন্ধ্যা 7:30 পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি সম্প্রতি কুম্ভ মেলা থেকে ঘুরে এসেছেন। তবে ইতিমধ্যে তার করোনা ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং তার বড়োসড়ো একটি অপারেশন হয়েছে। বাড়িতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রথমেই তার কোভিড টেস্ট হয় এবং রেজাল্ট পজিটিভ আসে। তবে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় একসময় অনেকটাই সেরে উঠে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং শ্বাস নিতে অসুবিধে হয়। তড়িঘড়ি তাকে ভেন্টিলেশনে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি, শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

এরপর মারা যান হাইলাকান্দি কাটলিছড়া এলাকার ২৬ বছরের যুবক পাপ্পু নাথ। ২২ এপ্রিল নানান শারীরিক সমস্যা নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন এবং তার রেজাল্ট পজিটিভ হয়েছিল। শুক্রবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে বিহারা পঞ্চম খন্ডের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন বড়ভূঁইয়া কোভিড ওয়ার্ডে প্রাণ হারান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। নানা সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন এবং একসময় তার কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে। করোনার জন্য বাড়িতে চিকিৎসা হচ্ছিল, তবে একসময় স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং তাকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল।

Comments are closed.