Also read in

কাছাড় কলেজের বাংলা বিভাগের এইচওডি করোনা পজিটিভ, "পরীক্ষার দায়িত্বে থাকলেও ছাত্রদের সংস্পর্শে আসিনি," বললেন তিনি

রামানুজ গুপ্ত বিদ্যামন্দিরের ছাত্র, কলেজিয়েট স্কুলের অংকের শিক্ষকের পর এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন কাছাড় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান সুমিতা ঘোষ। সম্প্রতি জ্বর-কাশি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেওয়ায় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করান তিনি এবং এতেই তার সংক্রমণ ধরা পড়ে। উপসর্গ থাকলেও তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন ভালো এবং তিনি শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

বরাক বুলেটিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় সুমিতা ঘোষ জানান, পরীক্ষার দায়িত্বে থাকলেও সরাসরি ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তাঁর। এছাড়া যখন তিনি উপসর্গ লক্ষ্য করেছেন সেই সময়ে কলেজ বন্ধ ছিল, ফলে কারো সংস্পর্শে আসার প্রশ্ন ওঠেনা। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করান এবং বাড়িতে ফিরে আসেন। সেখানে ডাক্তাররা বলেছিলেন তাকে হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়ে দেওয়া হবে কোভিড পরীক্ষার রেজাল্ট কি এসেছে। রাত দশটা পর্যন্ত তারা না জানানোয় সুমিতা ঘোষ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তারা জানান রেজাল্ট পজিটিভ।

তিনি বলেন, “অনেকেই বলেছিলেন এই অবস্থায় হাসপাতালে না গিয়েও চিকিৎসা সম্ভব। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হওয়া ভালো, কেননা আমার অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে। পরীক্ষার যে দায়িত্বে আমি ছিলাম সেখানে ছাত্রদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয় না। ১২ এপ্রিল পরীক্ষা ছিল এবং আমি উপসর্গ দেখতে পারি তার দুই দিন পর। অর্থাৎ সেই দিক দিয়েও উপসর্গ থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আমি আসিনি। তবে পরিবারের সদস্যরা যেহেতু সংস্পর্শে এসেছেন, তারা আগামীতে সাবধানে থাকবেন এবং প্রয়োজন হলে তাদের পরীক্ষা করানো হবে। আমি অনেকটাই সুস্থ মনে করছি এবং আশা রাখছি ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরব।”

কাছাড় কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ শংকর নাথের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই। তবে তিনি কলেজের আরেক অধ্যাপক ডঃ অপূর্ব চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। অপূর্ব চৌধুরী জানিয়েছেন, অধ্যাপক সুমিতা ঘোষ পজিটিভ হওয়ার পর কলেজের তরফে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ক্লাসরুম গুলো স্যানিটাইজ করা হবে।

Comments are closed.