Also read in

সশস্ত্র ডাকাত দল লুটে নিল ছয় লক্ষাধিক টাকা, দশ লক্ষ টাকার গহনা: আব্দুল মানিক লস্কর

ডাকাত দলের অবাধ বিচরণ ঘটে চলেছে কাছাড় জেলায়। সেরকম আরো একটি ঘটনা ঘটল জেলার উধারবন্দ এলাকার দয়াপুর দ্বিতীয় খন্ডে।পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রায় কুড়ি জনের একটি দল এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল মানিক লস্করের গৃহে দরজায় কড়া নাড়ে করে গতকাল রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ।

“কড়া নাড়ার শব্দে আমরা আশ্চর্য হয়ে যাই এবং ধরে নেই আশেপাশের কারো কোন বিপদ উপস্থিত হয়েছে, তাই দরজা খুলি। পরক্ষণেই বুঝতে পারি এরা ডাকাতদল। একজন লোক বড় ছুরি হাতে নিয়ে আমাকে আলমারির চাবি দিতে বলে। ভয় পেয়ে আমার স্ত্রী সাথে সাথে আলমারির চাবি দিয়ে দেন এবং তারা লুটপাট শুরু করে”, জানালেন ঐ গৃহকর্তা উধারবন্দ পাবলিক স্টোরের মালিক আব্দুল মানিক লস্কর।

উধারবন্দ পাবলিক স্টোর হচ্ছে ঐ এলাকার এক বড়োসড়ো মুদি জিনিসপত্রের পাইকারি দোকান। আব্দুল মানিক লস্কর জানালেন প্রায় ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদ এবং প্রায় ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের গহনা নিয়ে গেছে ডাকাতদল। উনার ছেলে শোয়েব আখতার লস্করকে ডাকাত দল আঘাত ও করেছে।

একই চৌহদ্দিতে থাকেন আব্দুল মানিক লস্করের ভাই রিপন উদ্দিন লস্কর। আব্দুল মানিক লস্করের বাড়িতে ডাকাতি সেরে ওরা রিপন উদ্দিনের ঘরে কড়া নাড়ে। “আমি এবং আমার স্ত্রী ওদের বাধা দিতে চেষ্টা করেছিলাম এবং আমরা দরজা জোর করে আটকে রেখে ছিলাম। ওরা আমাদের জানায় তারা পুলিশের লোক এবং দরজা খুলতেই হবে। তারপর তারা দরজা ভাঙতে সক্ষম হয় এবং আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করে। বড় ছুরির আঘাতে আমার তর্জনী কেটে যায়। ওরা আমার স্ত্রীর কান থেকে দোল ছিনিয়ে নেয়”, জানালেন রিপন উদ্দিন লস্কর।

ডাকাতদল দুটো আলমারি তছনছ করে ২ লাখ টাকা নগদ এবং প্রায় ৫ লাখ টাকার গহনা এবং যা কিছু মূল্যবান সামগ্রী ছিল সব নিয়ে যায় এবং আমাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ছেড়ে যায়। এমনকি তারা আমার শিশুকে ও আঘাত করে”, জানালেন আব্দুল মানিক লস্করের ভাই যিনি উধারবন্দ পাবলিক স্টোরের পার্টনার।

কাছাড় জেলার ডেপুটি সুপার কল্যান কুমার দাস এবং উধারবন্দ থানার ওসি সঞ্জীব কুমার দাস খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বরাক বুলেটিনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওসি জানান যে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এই অবস্থায় বিশেষ কিছু জানানো সম্ভব নয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, এই বছরের জানুয়ারি মাসে পি ডব্লিউ ডি বিভাগের ঠিকাদার এবং প্রাক্তন জিপি সভাপতি এনামুল হক লস্করের উধারবন্দেরই পানগ্রামে অবস্থিত বাড়িতে একই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় পঁচিশ জন সশস্ত্র লোক পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করে টাকা লুটে নিয়ে ছিল। ঐ ঘটনার তদন্তে ও খুব একটা অগ্রগতি ঘটেনি। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মুখ্যমন্ত্রীত্ব গ্রহণের পর বর্তমানে পুলিশ বিভাগ বেশ কিছু সক্রিয় হয়েছে। দেখা যাক এই নতুন ঘটনায় কূলকিনারা হয় কিনা।

Comments are closed.