Also read in

সদরঘাটে বরাক নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনে দূষণ নিয়ন্ত্রণে এবার বিশেষ ব্যবস্থা প্রশাসনের

সদরঘাটে বরাক নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনে দূষণ নিয়ন্ত্রণে এবার বিশেষ ব্যবস্থা প্রশাসনের

শিলচরে নথিভূক্ত পুজোর সংখ্যা ৩৭৬, তার সাথে রয়েছে ছোট বড় অনেক ঘরোয়া পূজা। বেশিরভাগ প্রতিমা সদরঘাটে পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করে দেওয়া বিসর্জন স্থলে নিরঞ্জন করা হচ্ছে। প্রতিমা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়, নদীর জল দূষণ হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

এতদিন এই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চললে ও প্রকৃতপক্ষে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এবার প্রশাসন এই ব্যাপারে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এবার প্রতিমা নিরঞ্জনের আগেই প্লাস্টিক জাতীয় সামগ্রী দিয়ে তৈরি মালা এবং অন্যান্য আরো কিছু জিনিস সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাপারটা তদারকি চলছে এসএলআরএম প্রজেক্টের অধীনে।

বিসর্জনের পরে সক্রিয় হয়ে উঠছেন অভ্যন্তরীণ জল পরিবহন দপ্তরের কর্মীরা। প্রতিমার কাঠামো কিছুদুর এগিয়ে যাওয়ার পর সেগুলো নদী থেকে তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কাজে সহায়তা করছেন জেলা প্রশাসন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং জলসম্পদ দপ্তরের কর্মীরা। সদরঘাটের পুরোনো এবং নতুন সেতুর মাঝখানে আইডব্লিউটি ডিপার্টমেন্টের তিনটে নৌকা এই কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কাঠামো তুলে আনার জন্য রয়েছে এক বৃহৎ ক্রেন, লোহার দড়ি, জাল প্রভৃতি সামগ্রী। বিগত ২৪ ঘন্টা ধরে অনেক পরিশ্রম করে এই ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন বিভাগীয় কর্মীরা।

বরাক নদীতে জল এখনো অনেক, তাই বড় বড় প্রতিমার কাঠামো তুলে নেওয়ার ব্যাপারটা বেশ চ্যালেঞ্জিং, তবে আশা করা যাচ্ছে তারা সফল হবেন। নদী দূষণ রুখতে প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অবহিত জনেরা ।

Comments are closed.