নিখোঁজ মেয়েটিকে ঘিরে উত্তেজনা দুধপাতিল গ্রামে; পুলিশ, বিএসএফ, সিআইএসএফ মোতায়েন
দুধপাতিল গ্রাম এলাকায় উত্তেজনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। দুধপাতিলের শশী রানী নাথ (নাম পরিবর্তিত) এর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১৭ জুন থেকে মেয়েটি নিখোঁজ রয়েছে বলে গত ২০ জুন মালুগ্রাম পুলিশ চৌকিতে তার বাবা এক অভিযোগ দায়ের করেন। শশী রানী নাথের বাবার অভিযোগ অনুযায়ী, আফজাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি তার মেয়েকে অপহরণ করেছে।
অন্যদিকে, শশী রাণীর নিজের মেসেজ সহ একটি ভিডিও তার পরিবারের কাছে পৌঁছেছে। সেই ভিডিওতে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে এবং আফজলকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করেছে বলে জানায়।
প্রথমে ব্যক্তিগত স্তরে হলেও এখন আর এটা শুধু পারিবারিক ব্যাপার নয়। আজ স্থানীয়রা এ ঘটনায় আবার উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং মালুগ্রাম পুলিশের ওপর নিজেদের ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। শিলচরের সঙ্গে দুধপাতিলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য তারা ফেরি সার্ভিস বন্ধ করার চেষ্টা করেন। সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত এই অবরোধ কর্মসূচিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন নিত্য ফেরি যাত্রী এবং দিনমজুররা। কিন্তু অবরোধের পর এই অঞ্চলে একটি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা শুরু হয়ে যায়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন অভিযোগ করেন যে, তাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে, যদি মেয়েটি নিরাপদে বাড়ি ফিরে না আসে তাহলে পুরো সম্প্রদায়কে আক্রমন করা হবে।
এদিকে আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। মালুগ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেন তারা জানান যে আফজল তাদের সতর্ক করেছে। তাদের কথা অনুযায়ী, সতর্ক বার্তায় আফজল জানায় যে তারা যদি প্রতিবাদ বন্ধ না করেন তবে সেই একই সম্প্রদায়ের আরো চারজন মেয়েকে অপহরণ করা হবে।
একটি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের আভাস পেয়ে তারাপুর পুলিশ আউটপোস্টের আইসি জোসেফ জেটে বিএসএফ ও সিআইএসএফ’র জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন। এমনকি তাদের কথাও শোনেন যারা নিজেদের বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশের কাছে ঘটনাটির বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কিছু বলতে অস্বীকার করেন। এ অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করাই তাদের উদ্দেশ্যে বলে জানান।
Comments are closed.