Also read in

শহরের স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে উদ্বোধন হলো প্রকল্প, 'স্বচ্ছ -সুন্দর -শিলচর'

রবিবার শিলচরে ‘স্বচ্ছ-সুন্দর -শিলচর’ প্রকল্পের উদ্বোধন করল কাছাড় জেলা প্রশাসন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিলচরে আবর্জনা নিষ্কাশন নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে সেই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচুর সংখ্যক জনগণের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ ঘটবে।

শিলচরের বিধায়ক দিলীপ পাল, সাংসদ রাজদীপ রায়, জেলা-উপায়ুক্ত লায়া মাদ্দুরি, পুর সভাপতি এন এন ঠাকুর, এসএলআরএম বিশেষজ্ঞ সি শ্রীনিবাসন সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে এই ‘এসএলআরএম’ প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুরসভার সভাপতি নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর বলেন, “শিলচর শহরকে স্বচ্ছ সুন্দর করে গড়ে তুলতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে”।

জেলা উপায়ুক্ত লায়া মাদ্দুরি তার ভাষণে বলেন, রিসোর্স পারসন শ্রীনিবাসনের সঠিক পরিচালনায় এই প্রকল্পকে সার্থক করে তুলতে হবে।

সাংসদ রাজদীপ রায় বলেন, শিলচর শহরকে স্বচ্ছ ও সুন্দর করে তুলতে জেলা প্রশাসন এবং পৌরসভা যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রশংসার যোগ্য।

জানা গেছে, আপাতত শিলচর পৌরসভা এলাকার ছটি ওয়ার্ডে শুরু হচ্ছে এই প্রজেক্ট। তবে পরে সবকটি বোর্ডকেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে বলে জানা যায়। এজন্য আরও ৫ টি এসএলআরএম সেন্টার খোলা হবে। উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্পটি শুরু করতে আটটি ট্রাইসাইকেল ও ৫০০০ ডাস্টবিন এসেছে। আপাতত ১,২,৩,৪,৬ এবং ২৪ নং ওয়ার্ড এর নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রত্যেকটি বাড়িতে দুটি করে ডাস্টবিন দেওয়া হবে। এই দুটি ডাস্টবিনের মধ্যে একটিতে আর্দ্র এবং অন্যটিতে শুকনো আবর্জনা রাখতে হবে। প্রত্যেকটি বাড়ি থেকে এই বর্জ্য গুলো সংগ্রহ করে ট্রাই সাইকেল গুলোর মাধ্যমে শহরের ট্রাংক রোডের পুরনো বিআরটিএ অফিসে এস এল আর এম সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে। উল্লেখ্য, এই এস এল আর এম সেন্টার নতুন করে খোলা হয়েছে।প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলে দুবার করে এই ট্রাই সাইকেল গুলো বাড়িতে জমানো আবর্জনা সংগ্রহ করবে।

প্রকল্পটির যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে সেই অনুযায়ী ট্রাঙ্ক রোডের সলিড লিকুইড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সেন্টার আবর্জনা গুলো বাছাই করা হবে। বাছাইয়ের পর ভাত তরকারি জাতীয় খাবার গুলো হাঁস, মুরোগদের খাওয়াতে ব্যবহার করা হবে, শাক সব্জিগুলো ব্যবহার করা হবে গরুর জন্য, বাকি থাকা জৈবিক বর্জ্যগুলো দ্বারা পচন সার তৈরি করা হবে।

এ প্রকল্প রূপায়ণের জন্য বিভিন্ন এনজিওর প্রায় ৪০০ জন সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শিলচর শহরকে সুন্দর তথা স্বচ্ছ করে তুলতে এই প্রকল্প নিঃসন্দেহে একটি সুষ্ঠু পদক্ষেপ। রকমফেরে এমন প্রকল্প আগেও শুরু করা হয়েছিল। তাই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনের পদক্ষেপ যেমন জরুরি, তেমনি নাগরিকদের সচেতনতাও এক্ষেত্রে প্রয়োজন। নাগরিকদের সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে যদি এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় তাহলে শিলচরের বর্জ্য পদার্থ নিয়ে যে বিরাট সমস্যা রয়েছে তার এতদিনে সমাধান ঘটবে।

Comments are closed.