Also read in

প্রয়াত হাইলাকান্দির প্রাক্তন ফুটবলার আফতাব উদ্দিন বড়ভূঁইয়া, শোক জানাল বরাকের ক্রীড়া জগত

না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন প্রখ্যাত ফুটবলার তথা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আফতাব উদ্দিন বড়ভূঁইয়া। সোমবার কাকভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫। রেখে গেছেন স্ত্রী,এক পুত্র, পুত্রবধু, তিন কন্যা,জামাতা, নাতি নাতনি সহ অসংখ্য গুণমুগ্ধ। প্রাক্তন ফুটবলার, রেফারি ও ফুটবল কোচ হিসেবে বিশেষ পরিচিতি ছিল প্রয়াত আফতাবের।হাইলাকান্দি শহরের লাগোয়া রাঙ্গাউটিস্থিত বিলপারের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। হাইলাকান্দি ডি এস এর সঙ্গে আমৃত্যু জড়িত ছিলেন। তিনি বেশ কিছুদিন থেকে বার্ধ্যক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন।গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।পরদিন অর্থাৎ দশ ফেব্রুয়ারি তাঁকে শিলচরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করানো হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে খানিকটা সেরেও উঠেছিলেন। পচিশ ফেব্রুয়ারি তাঁকে পরিবারের সদস্যরা শিলচরের নার্সিংহোম থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেই থেকে নিজ বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সব প্রচেষ্টা বিফলে যায়। সোমবার ভোরে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে।

আফতাব পেশাগত জীবনে একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। তিনি আমৃত্যু হাইলাকান্দি ডি এস এর রেফারি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এরআগে ১৯৯৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত হাইলাকান্দি ডি এস এর ফুটবল সচিবের দায়িত্বে ও ছিলেন। ৬০-৭০ দশকে ফুটবল মাঠে রীতিমত দাপিয়ে বেড়িয়েছেন।হাইলাকান্দি টাউনক্লাব দিয়ে ক্লাব ফুটবলে তাঁর এন্ট্রি । পরে হাইলাকান্দির ঐতিহ্যবাহী স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে বেশির ভাগটা সময় খেলেছেন। আমৃত্যু ওই স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি পদেও ছিলেন। ১৮৬৬-৬৭ সালে তিনি আসাম স্কুল ফুটবল খেলে সুনাম কুড়িয়েছিলেন। টানা প্রায় তিন দশক বরাক সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তার ফুটবল স্কিল সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। কখনও স্টপার, কখনও হাফ আবার কখনো বা সাইড ব্যাক হিসেবে খেলে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এ এফ এর ক্লাস টু রেফারি আফতাব খেলা থেকে অবসরের পর ফুটবল কোচিংয়ের দায়িত্বও সামলান।

তাঁর মৃত্যুতে বরাকের ক্রীড়া মহল রীতিমত শোকে মুহ্যমান। শোক জানিয়েছে বরাকের বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থা ও সংগঠন। প্রাক্তন ফুটবলারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজেদের পতাকা তিনদিন অর্ধনমিত রাখবে হাইলাকান্দি ডি এস এ।

Comments are closed.