Also read in

অসম-ত্রিপুরা ৮ নং জাতীয় সড়কের অবস্থা শোচনীয়, সংস্কারের কাজে দেরির জন্য কোভিড ১৯'কে দায়ী করলেন বিধায়ক

করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি এলাকার জনগণ তথা দক্ষিণ করিমগঞ্জের এলাকাবাসী তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন ত্রিপুরার সঙ্গে অসমের সংযোগ স্থাপনকারী ৮ নং জাতীয় মহাসড়কের শোচনীয় পরিস্থিতির কারণে। প্রতিদিনের যাত্রীদের প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অথচ যাত্রীদের এহেন দুর্ভোগের প্রতি উদাসীন কর্তৃপক্ষ চোখ-কান বন্ধ করে আছেন বলে জনগণের অভিযোগ।

কানাইবাজার থেকে মুণ্ডমালা পর্যন্ত অসম ত্রিপুরা জাতীয় সড়কের অবস্থা এমনই শোচনীয় হয়ে উঠেছে যে নতুন ভারতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা কোন সরকারের কাছে এমনটা আশা করা যায় না বলে স্থানীয় জনগণ মন্তব্য করেছেন। প্রাক- বর্ষাকালীন বৃষ্টি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার অবস্থার চরম অবনতি ঘটেছে। রাস্তার বিরাট বিরাট গর্ত গুলো জলে ভরে উঠেছে। ছোট ছোট পুকুরের আকার ধারণ করা গর্তগুলোতে অনায়াসে দু চাকা কিংবা তিন চাকার গাড়ি গুলো অর্ধেক ডুবে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়,প্রায় প্রত্যেকদিন বিশাল গর্তগুলোতে ট্রাক আটকে পড়ছে। কাজেই গর্ত থেকে ট্রাক না উঠানো পর্যন্ত কয়েক ঘন্টা ট্রাফিক জ্যাম তৈরি হচ্ছে ওই রাস্তায়।ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই এলাকার জনগণকে।

“আমাদের যন্ত্রণা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখানে যারা ব্যবসা করেন, তাদেরকে লোকসানে পড়তে হচ্ছে। আমি নিজে বহুবার প্রতিবাদ করেছি, একবার তো প্রতিবাদে বীজ পর্যন্ত বপন করেছি।”জানালেন স্থানীয় এক সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী নীহার রঞ্জন।

অন্যদিকে পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের কাছে এই রাস্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিধায়ক বলেন, বর্তমানের করোনা সংকটের কারণে রাস্তা সংস্কারের জন্য টাকা অনুমোদনের পরও কাজে বিলম্ব হচ্ছে।কানাই বাজার থেকে মন্ডমালা পর্যন্ত ৬.৭ কিলোমিটার জুড়ে রাস্তার জন্য ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে বর্তমানের মহামারীর কারণে কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। বিধায়ক আরো বলেন যে তিনি নিজে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাডকাড়ির কাছে গিয়েছিলেন এবং এই টাকার অনুমোদন আনিয়েছেন।

তিনি সেইসঙ্গে উল্লেখ করেন, আরপিপি ইনফ্রা প্রজেক্টস লিমিটেড রাস্তার কাজ পেয়েছে বলে তিনি শুনেছেন এবং খুব শিগগিরই তা শুরু হবে।

সেই সঙ্গে বিধায়ক আরও বলেন,” বিধায়ক হওয়ার পর আমি কানাই বাজার বাইপাসের কাজ শুরু করেছি। সেই কাজের টাকা ২০০৭ সালে মঞ্জুর করা হয়েছিল, কিন্তু ২০১৫ সাল পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি।”

Comments are closed.