Also read in

জমি বেদখল ! টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তা রুখে, থানা ঘেরাও করে তারাপুরে বিক্ষোভ; উত্তাল এলাকা

শিলচরের তারাপুরে আজ দুপুরের পরে টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তা অবরোধ করে থানা ঘেরাও করে ব্যাপক বিক্ষোভ সংঘটিত হল । “হিন্দু-ভূমির এক ইঞ্চিও যেতে দেব না, শিলচরকে বাংলাদেশ হতে দেব না,” মিঠুন নাথ বলছিলেন এবং সাথে সাথে তা প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। বিক্ষোভকারীরা আসাম পুলিশের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে “আসাম পুলিশ হায় হ্যায়” স্লোগানে মুখরিত করেন তারাপুর থানার চৌহদ্দি।

মূলত বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের সদস্যদের নিয়ে গঠিত বিক্ষোভকারীদের মতে, “তারাপুর পুলিশ একটি জমি বিবাদে মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের” পক্ষে রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, সন্দীপ দাস ও পরিবার রামনগরে এলাকায় অন্তত ৯০ বছর ধরে একটি প্লটে রয়েছেন, কিন্তু তিন বছর আগে তাদের জমি দখলের চেষ্টা করেছিল অন্যরা।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, রেহান উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন ঐ জমিতে একটি ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে তারা আদালতে যান। “আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, কেউ বিতর্কিত জমিতে প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না। আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে, তারা ৩০০ জন লোক নিয়ে প্লটে প্রবেশ করে নির্মাণ শুরু করেছে,” বলেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শিলচর জোনের সেক্রেটারি মিঠুন নাথ।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তারাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে একই অভিযোগ দায়ের করা হলেও এফআইআর এখনো নথিভুক্ত করা হয়নি। মিঠুন বলেন, “শুধু তাই নয়, আজকে আমরা অভিযোগ করলে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেলেও নির্মাণকাজ বন্ধ করেনি। কেন পুলিশ ঐ অবৈধ দখলদারদের পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং এর পেছনে কী ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা আমরা জানি না।” কেন তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করতে “বাধ্য” হয়েছিলেন, তা এইভাবে খোলাসা করেন।

এদিকে ‘দখলদার’দের দাবি, কাজল দাসের কাছ থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় রেহান উদ্দিন প্লটটি কিনেছেন। “তিন বছর আগে, রেহান উদ্দিন প্লটটি কেনার পর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল যা হাইকোর্ট স্থগিত করেছিল। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তবে আমাদের কাছে কোনও আদেশ দেওয়া হয়নি যাতে বলা হয়েছে যে, আমাদের প্লটে প্রবেশ করা উচিত নয়। আমরা জমি কিনেছি এবং আইনসম্মতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। আমাদের নির্মাণে ব্যাঘাত ঘটলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব,” বলেন রেহান উদ্দিনের ভাই রিয়াজ উদ্দিন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসপি সদর ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করলে অবশেষে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। “আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, নির্মাণ করা খুটি গুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে এবং এই কার্যকলাপের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আশ্বাসের পরে, আমরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছি,” মিঠুন নাথ জানান।

Comments are closed.