Also read in

"সংক্রমণকে হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে, পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আবার লকডাউন করতে বাধ্য হবে সরকার," রাজদীপ রায়

বরাক উপত্যকায় করোনা সংক্রমণকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছে না জনগণ। হাট-বাজার, অফিস-আদালত, রাস্তাঘাটে জনগণের চলাফেরায় যা প্রকট হয়ে উঠেছে। শেষমেষ সামাজিক সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কায় শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়কে উপত্যকায় জনগণের কাছে কোভিড সংক্রান্ত আচরণবিধি মেনে চলতে আবেদন জানাতে হলো। ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিওর মাধ্যমে সাংসদ উপকার জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে জানালেন, সামাজিক সংক্রমণ ঘটলে আবার লকডাউন করতে বাধ্য হতে পারে সরকার।

“করোনা সংক্রমণকে আমরা খুবই হালকাভাবে নিচ্ছি, সামাজিক সংক্রমণ ঘটে গেলে তার প্রভাব খুবই বাজে ভাবে পড়বে সমাজে।আমাদের আজকের দিনে যা অবস্থা যদিও আমরা সামাজিক সংক্রমণ পর্যন্ত পৌছাইনি, তবুও গুয়াহাটিতে আমরা দেখতে পেয়েছি ইতিমধ্যে সামাজিক সংক্রমণ ঘটে গেছে। শিলচর হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জে ও কমিউনিটি স্প্রেড হতে পারে যদি আমরা সচেতন না হই। আমরা যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখি, ফেস মাস্ক ব্যবহার না করি, হাত ধোয়ার মত অতি সাধারন নিয়ম বিধি মেনে না চলে তাহলে তা সত্যিই আমাদের কাছে অশনিসংকেত”, বলেন সাংসদ ।

তিনি আরো জানান,রিকভারি রেট ভালো হওয়া সত্বেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আমাদের স্বাস্থ্য সেবার সীমিত ক্ষমতা; বরাক উপত্যকায় একটিমাত্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। যদিও মডেল হসপিটাল বা সিভিল হসপিটাল রয়েছে, তবে সেগুলোর ক্ষমতা ও খুবই সীমিত। উপত্যকায় ডাক্তারের সংখ্যাও সীমিত, স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যাও তথৈবচ। সংক্রমণ হলে রোগী রাখার বেড পাওয়া যাবে না, এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।

গুয়াহাটিতে সামাজিক সংক্রমনের ফলে যেমন আবার পুরো লকডাউন করতে হয়েছে, সেরকম পরিস্থিতি বরাক উপত্যকায় ঘটলে শিলচর, হাইলাকান্দি, এবং করিমগঞ্জে ও আবার লক ডাউন করতে হবে। সরকার এ বিষয়ে সর্বদা নজর রেখে চলেছে।

“আবার লক ডাউন হলে যারা ছোট ব্যবসায়ী এবং দিন আনে দিন খায় এদের সবচেয়ে বেশি দুর্গতি হবে। আমি আবেদন রাখছি যাতে সরকার প্রদত্ত গাইডলাইন মেনে চলা হয়”, আবেদন রাখেন সাংসদ রায়।

সাংসদের এই বক্তব্যে উপত্যকার জনগণের হেলাফেলা মনোভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকট হয়ে উঠেছে।

Comments are closed.