Also read in

অটো-টুকটুকের দ্বিগুণ ভাড়ার বিরুদ্ধে পুনরায় সড়ক অবরোধ পড়ুয়াদের

লকডাউন পরবর্তী সময়ে যখন অর্ধেক যাত্রী নিয়ে অটো, টুকটুক ইত্যাদি চলাফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তখন তারা দ্বিগুণ ভাড়া নিতে শুরু করেন। পরবর্তীতে সরকারের অনুমতিক্রমে তারা গাড়িভর্তি যাত্রী নিতে শুরু করলেও ভাড়া কমানো হয়নি। এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে যেতে শুরু করে। তারা আগে যে ভাড়া দিয়ে অটো অথবা টুকটুকে চলাফেরা করতো এখন তার দ্বিগুণ দিতে অসুবিধা হচ্ছে।

চালকরা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকেও দ্বিগুণ ভাড়া নিতে দ্বিধাবোধ করছেন না। এর বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে গুরুচরণ কলেজের সামনে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল পড়ুয়ারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে, কিন্তু সেটা হয়নি। তাই মঙ্গলবার সকালে কাছাড় কলেজের সামনে ট্রাঙ্ক রোডের ক্যাপিটাল পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে শহরের পড়ুয়ারা।

জিসি কলেজ ও কাছাড় কলেজের পড়ুয়ারা এদিন সকালে সড়ক অবরোধ করেন। ঘন্টা দুয়েক অবরোধে পুরো এলাকা স্তব্ধ হয়, দেখা দেয় চরম ট্র্যাফিক জ্যাম। প্রভাব পড়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রেও। বাধ্য হয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্রদের সঙ্গে আবার আলোচনা হয়। ম্যাজেস্ট্রেট এস পাঠক এসে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন অতিসত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন। এতে পড়ুয়ারা আশ্বস্ত হয় এবং সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

 

 

আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা তাকে বলে, “আমরা এখন থেকে ক্লাসে যেতে শুরু করেছি, আমাদের খুব অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাওয়া আসা করা ছাত্রদেরকে পক্ষে কষ্টকর। আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে অনুরোধ জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর কলেজ রোডে আমরা অবরোধ করি এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা গিয়ে আশ্বাস দেন তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, চালকরা তাদের জুলুম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা যায়না, প্রতিবাদ করলে তারা দুর্ব্যবহার করে, এমনকি গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। প্রশাসন ছাত্রদের স্বার্থে এইটুকু কাজ করতে পারছে না, তাহলে আমরা কি করে বিশ্বাস করব আগামীতে আমাদের কথা রাখা হবে।”

ম্যাজিস্ট্রেট এস পাঠক তাদের বুঝিয়ে বলেন, সমস্যাটি হঠাৎ করে সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এব্যাপারে কাজ করছে। আগামীতে অটো ভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন।

তবে অটো এবং ই-রিক্সার চালক ও মালিকরা কোনভাবেই ভাড়া কমানোর পক্ষে নন। তাদের সঙ্গে এব্যাপারে কথা বললে তারা স্পষ্ট জানান, বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময় লকডাউনে ঘরে বসে থাকার ফলে চালকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অবশ্যই দ্বিগুণ ভাড়া নিতে হবে।

Comments are closed.