Also read in

হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী : বৌদিকে খুন করল দেবর, সঙ্গে দুধের শিশু ও - আজ দুপুরে

বাড়িতে শিশু পুত্র কে নিয়ে একাকি থাকা বৌদিকে খুন করল দেওর। অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে না পেরেই কি বৌদি র গলা কেটে খুন করল দেওর মঞ্জু রায় ? এ প্রশ্ন উঠেছে এলাকার জনমনে। যদিও পুলিশ এনিয়ে মুখ খুলতে চাইছে না। বুধবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনাটি ঘটেছে হাইলাকান্দি জেলার লালা থানাধীন ছোট মুন্সিছড়া গ্রামে। ঘরের মধ্যেই অত্যন্ত নৃশংসভাবে খুন হলেন মা ও শিশু পুত্র ।। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন রীতা রায় (৩৫), এবং তার একমাসের শিশু পুত্র মনা রায়। জানা গেছে, ছোট মুন্সিছড়া গ্রামের বাসিন্দা মনাই রায় বিগত পাঁচ দিন ধরে কর্মসংস্থানের জন্য বাড়ির বাইরে রয়েছেন। বাড়িতে শ্বাশুড়ী, চৌদ্দ বছরের স্কুল পড়ুয়া পুত্র আর এক মাসের শিশু পুত্র মনা রায়কে নিয়ে বসবাস করছিলেন নিহত রীতা রায়। বুধবার নিহত রীতা রায়ের চৌদ্দ বছরের পুত্র স্কুলে আর শ্বাশুড়ী বেড়াতে গ্রামের অন্য বাড়িতে চলে যাওয়ায় এক মাসের শিশু পুত্রকে নিয়ে বাড়িতে একাকী হয়ে পড়েন তিনি । আর এই সুযোগে দেওর মঞ্জু রায় বৌদি রীতা রায়ের ঘরে ঢুকে হামলা চালায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে না পেরে সম্ভবত খুন করেছে। যদিও পুলিশ এনিয়ে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।

মঞ্জু রায় ঘরে ঢুকে বৌদি রীতা রায় ও তার এক মাসের শিশুপুত্র মনা রায়কে কুপিয়ে খুন করে। বৌদি ও ভাতিজাকে খুন করে দা নিয়ে বাড়ির পাশের জংগলে আত্মগোপন করে মঞ্জু রায়। এদিকে জোড়া খুনের খবর পেয়ে হাইলাকান্দি পুলিশের এডিশ্যনাল এস পি জগদীশ দাস, ও লালা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে লালা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মা ও শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু করে। গ্রাম বাসীদের সহযোগিতায় পুলিশ বাড়ির পাশের জংগলে চিরুনী তল্লাসি শুরু করে। এদিকে পুলিশের অভিয়ান দেখে একসময় এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় অভিয়ুক্ত মঞ্জু। পুলিশ জনতা তার পিছু ধাওয়া করে এক সময় ধারালো দা সহ তাকে পাকড়াও করা হয়। উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই দেন। যদিও পুলিশ তৎপরতার সাথে জনতার হাত থেকে আসামী মঞ্জু কে উদ্ধার করে এবং গ্রেফতার করে লালা থানায় নিয়ে আসে। এদিন রাতে লালা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গণধোলাইয়ে জখম মঞ্জু রায়কে চিকিৎসা করায় পুলিশ।

 

 

হাইলাকান্দি পুলিশের এডিশ্যনাল এস পি জগদীশ দাস জানান, জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গ্রামের একাংশ লোক মঞ্জু রায়ের মানসিক সমস্যার কথা জানালেও খুনের পর দা নিয়ে পালিয়ে আত্মগোপন, পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে দৌড়ঝাঁপ ইত্যাদি খন্ডচিত্রে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই খুনের পেছনে কিধরনের অপরাধ কাজ করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে নিহত মা ও পুত্রের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাইলাকান্দির এস কে রায় সিভিল হাদপাতালে র মর্গে প্রেরন করে।বুধবার রাত হয়ে যাওয়ায় মৃতদেহ ময়নাতদন্ত হয় নি। বৃহস্পতিবার সকালে মৃতদেহ ময়না তদন্ত হবে বলে পুলিশ সুত্রে জানানো হয়েছে।

 

 

 

Comments are closed.