Also read in

মারিয়া তানিমকে অপহরণের দুঃসাহসিক প্রয়াস বিধায়ক আজিজ এবং মিটুর

গুয়াহাটির প্রকাশ্য রাজপথে হেনস্তার শিকার হলেন এপিএসসি টপার মারিয়া এবং তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত বিডিও কুতুব উদ্দিন বরভূইয়া। এই অপকাণ্ডের দুই নায়ক হলেন, দক্ষিণ করিমগঞ্জের এআইইউডিএফ বিধায়ক আজিজ আহমেদ খান (রুনু) এবং তার ভাই আজাদ খান (মিটু)।

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, মারিয়া তার বাবাকে নিয়ে জয়েন্ট ডিরেক্টর অফ হেলথ অফিসে গিয়েছিলেন নতুন চাকুরিতে যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জোগাড় করতে। তখনই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে ব্রহ্মপুত্র গেস্টহাউসের নিচের রাস্তায় ওই অফিসের বাইরে তার ওপর চড়াও হন বিধায়ক আজিজ ও তার ভাই মিটু। প্রকাশ্য রাজপথে বল প্রয়োগ করে মারিয়াকে তুলে নিয়ে যেতে চান তারা, বাধা দেন পিতা কুতুব উদ্দিন বরভূইয়া। শারীরিক নিগ্রহের সাথে সাথে মারিয়ার গলা টিপে ধরেন বিধায়ক আজিজ, সঙ্গে চলে গালিগালাজ। মারিয়ার বাবা সাথে সাথে সোনাইয়ের বিধায়ক আমিনুলের সাথে যোগাযোগ করলে বিধায়ক তৎক্ষণাৎ পুলিশের যুগ্ম কমিশনার দিগন্ত বরাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেন। পুলিশ বাহিনী তৎপর হয়ে মারিয়া এবং তার বাবাকে উদ্ধার করে হোটেলে পৌঁছে দেয়। এই ঘটনায় লতাশিল থানাতে একটি এজাহার দাখিল করেছেন মারিয়ার বাবা। এজাহারে তিনি তার মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা এবং খুনের অভিযোগ এনে ১৪৩,৫০৬,৩৬৫,৫১১,৩২৩ ধারা অনুযায়ী এজাহার দাখিল করেছেন।

এখানে উল্লেখ্য, বিধায়ক আজিজের ভাই আজাদ খান ওরফে মিটুর সাথে মেধাবী মারিয়ার বিয়ে হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই তাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। কয়েক বছর ধরেই মারিয়া-মিটু আলাদা আলাদা রয়েছেন। যদিও মারিয়া তানিম  এপিএসসি টপার হওয়ার পর আজাদ খান (মিটু) স্থানীয় পত্রপত্রিকাতে বিশাল বিজ্ঞাপনে মারিয়াকে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন। তবে গতকালের ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

Comments are closed.