Also read in

কাছাড়ের ঢুকলো কোভিড-১৯, বরখলার প্রাক্তন বিএসএফ কর্মী সাজিবুর রহমান প্রথম আক্রান্ত

কাছাড় জেলার সীমানা অতিক্রম করলো করোনা ভাইরাস। বড়খলা বিধানসভার রাণীঘাট এলাকার প্রাক্তন বিএসএফ কর্মী সাজিবুর রহমান জেলার প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত। তিনি দিল্লির নিজামুদ্দিন মরকজে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯ মার্চ দিল্লি থেকে জেলায় ফেরেন এবং বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। ২ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার তার লালা পরীক্ষা হয় এবং সন্ধ্যেবেলা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এদিন রাত সোয়া এগারটায় টুইট করে খবরটি জানান। শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায় খবরটির সত্যতা স্বীকার করেন এবং সম্পূর্ণ তথ্য আমাদের তুলে ধরেন। বিএসএফ কর্মী সাজিবুর রহমান ২০০৭ সালে অবসর নিয়েছেন। দিল্লিতে নিজামউদ্দিনের মরকজে অংশ নিয়ে ট্রেনে বাড়ি ফেরেন তিনি। ১৯ মার্চ বাড়িতে ফিরে সেখানেই ছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাথমিকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। একসময় শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে ডাক্তাররা তার লক্ষণ দেখে সন্দেহ করেন তিনি করোনা পজিটিভ হতে পারেন। শনিবার তার লালা পরীক্ষা করানো হয় এবং সন্ধেবেলা রিপোর্টে ধরা পড়ে সাজিবুর রহমান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।

তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং ডাক্তাররা তার চিকিৎসা করছেন। বরাক উপত্যকায় এটি দ্বিতীয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। এরআগে করিমগঞ্জের এক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তার সংস্পর্শে আসা প্রত্যেক ব্যক্তির কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়েছে। এবার সাজিবুর রহমানের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। তার বাড়িটি আপাতত সিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি যে যে ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন প্রত্যেকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সঙ্গে কোডিভ-১৯ পরীক্ষাও করানো হবে। পাশাপাশি তাদেরকে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।

সাংসদ রাজদীপ রায় সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি প্রচার করে জেলার প্রত্যেক ব্যক্তিকে আরও সাবধান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখন এই মরণ ভাইরাসটি আমাদের জেলায় প্রবেশ করেছে। এবার থেকে আর অসাবধান থাকা একেবারেই চলবে না। লকডাউনকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে প্রত্যেকে আমরা বাড়িতেই থাকব এবং একে অন্যের স্পর্শ থেকে দূরে থাকবো। সবাই মিলে চেষ্টা করলে এই মারণব্যাধি সমাজে মহামারীর রূপ নিতে পারবে না। তবে আমরা যদি সরকারের বার্তা উপেক্ষা করে ঘুরে বেড়াই তাহলে ভবিষ্যৎ আরও ভয়াবহ হতে পারে।

Comments are closed.