Also read in

অনুমতি দিলো না এ আই এফ এফ, এবারও বাতিলের পথে শিলচরের ফুটবল মরশুম!

তাহলে কি এবারও বাতিলের পথে শিলচরের ফুটবল মরশুম! এই মুহূর্তে এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় ক্রীড়া মহলে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে কিন্তু এই আশঙ্কা মোটেও অপ্রাসঙ্গিক নয়। অসম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।

রাজ্যের সবকটা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল সচিবদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন অসম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সচিব হেমেন্দ্র নাথ ব্রহ্ম। এই বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, ফুটবল মরশুম নিয়ে এখন পর্যন্ত অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এ আই এফ এফ) তাদের কোনো নির্দেশ দেয়নি। এমনকি আন্তঃজেলা দলবদল অথবা আন্তঃরাজ্য দলবদল নিয়েও কোনো নির্দেশ দেয় নি। তাই এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে ফুটবল মরশুম নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এখনো সেই অনিশ্চয়তার গর্ভে রয়েছে ফুটবল মরশুম। এই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ২৪-২৫ টি জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল সচিবরা। উপস্থিত ছিলেন শিলচরের ফুটবল সচিব বিকাশ দাস ও।

এ আই এফ এফ নাকি অসম ফুটবল সংস্থা কে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছু করা যাবে না। এমনকি দলবদল ও সম্ভব নয়। গত সপ্তাহেই এআইএফএফ এর সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন অসম ফুটবল সংস্থার সচিব। ‌ সেখানেও তাকে এই মুহূর্তে ফুটবল মরশুম শুরু না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

গতবছরও করোনার জন্য গোটা মরশুম বাতিল হয়ে গিয়েছিল। লকডাউনে ঘরে বসেই সময় কাটাতে হয়েছিল ফুটবলারদের। এবারও পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। সাময়িক প্রসঙ্গ মহিলা ফুটবল দিয়ে ফুটবল মরশুম শুরু করেছিল ডি এস এ। কথা ছিল এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হবে আন্তঃক্লাব দলবদল। এরপর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকেই যেকোনো একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সংস্থা। তবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে গোটা দেশের সঙ্গে শিলচরে করোনা সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় নিজেদের পূর্ব পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় সংস্থা। তারা আরও কিছুটা অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। আশা ছিল, সংক্রমণের হার কমলে দলবদল প্রক্রিয়া আয়োজন করা যাবে। এরপর সুপার ডিভিশন লিগও আয়োজন করা যেতে পারে। কিন্তু করোনা সবকিছুতেই ব্রেক লাগিয়ে দিয়েছে।

মহামারি ভাইরাসের আতঙ্কে নিজেদের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এই তালা কবে খুলবে, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। শুধুমাত্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ফের এস এম দেব স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন খেলোয়াড়রা। তবে সেই সময় কখন আসবে? এর জবাব কারোর কাছে নেই।

প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, জুলাই পর্যন্ত যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তাহলে হয়তো ফুটবল মরশুম শুরু করা যাবে। তবে এমনটা হয়নি। ফলে এখনো কিন্তু সুতোয় ঝুলছে ফুটবল মরশুমের ভাগ্য। অসম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ম অনুসারে মে মাসে আন্তঃজেলা দলবদল সম্পন্ন হয়ে যাবার কথা। কিন্তু করোনার জেরে সেটাও পিছিয়ে দিয়েছিল এ এফ এ। এই মুহূর্তে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয় তারা। বরং তারা ওয়েটিং গেম খেলতে চাইছে। পরিস্থিতি বিচার করেই ফুটবল মরশুম নিয়ে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার পরিকল্পনা বানিয়েছে অসম ফুটবল সংস্থা। আগামী মাসে প্রতিটি জেলার ফুটবল সচিবের সঙ্গে ফের ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন অসম ফুটবল সংস্থার সচিব। তখন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

এমনিতেই গত বছর মরশুম বাতিল হয়েছে। তাই এবার দরকার হলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ও মরশুম আয়োজন করতে চাইছে এ এফ এ। তবে তার জন্য এআইএফএফ এর ছাড়পত্র লাগবে। কিন্তু পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় তাহলে এর অনুমতি দেবে না এ আই এফ এফ। এর আগে গত মাসে বরাক বুলেটিন কে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল সচিব বিকাশ দাস জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসেও ফুটবল মরশুম চালু করা যেতে পারে। তবে যত সময়ে গড়াচ্ছে সেই সম্ভাবনাও ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে।

Comments are closed.