শহরের রাস্তায় মাটি, বালি,পাথরের স্তূপের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিতে নারাজ পুরসভা এবং জেলা প্রশাসন
বাড়ি বানানোর নাম করে শহরের রাস্তায় মাটি, বালি, পাথরের স্তূপ জমিয়ে রাখা হচ্ছে। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়াও নতুন ব্যপার নয়। পাশাপাশি এক পশলা বৃষ্টি হলেই রাস্তায় চলাফেরার ক্ষেত্রে দুর্ভোগও সাধারণ মানুষের নিত্যসঙ্গি। এ সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন বা পুরসভা, কেউই দায়িত্ব নিতে নারাজ। জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ মনে করেন দায়িত্বটি পুরসভার এবং পুরসভার অভিমত, এটি জেলা প্রশাসন এবং পূর্ত বিভাগের আওতায় পড়ে।
২০১০ সালে নরশিং হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক অঞ্জন ভট্টাচার্য শহরের রাস্তায় পাথরের জমা স্তূপের জন্য দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
সম্প্রতি ন্যাশনাল হাইওয়ে রোডে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হয়। এসব কারণে ঘটিত দুর্ঘটনার হিসাব পুলিশ প্রশাসনের কাছে থাকলেও রাস্তায় অবৈধ ভাবে পাথর, বালি ফেলে রাখার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কখনোই।
পুর্ত বিভাগের আধিকারিকরা এব্যাপারে বলেন, শহরের জনগণ রাতের বেলা রাস্তায় পাথর ফেলবেন বলে অনুমতি নেন তবে বিভিন্ন সময় দেখা যায় তারা দিনের বেলায়ও এসব রাস্তায় ফেলে রাখেন। আমরা তাদের অনুরোধ করতে পারি তবে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার আমাদের নেই।
জেলাশাসক এস লক্ষনন এব্যাপারে বলেন, শহরের রাস্তা দেখে রাখার দায়িত্ব পুরসভার। তবে রাস্তার উপর এসব ফেলে রাখায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের মুখে পড়ছেন এবং এই অবস্থায় আমরা কিছু পদক্ষেপ নিতে রাজি।
পুরসভার সহ-সভানেত্রী চামেলী পালের এব্যাপারে মন্তব্য, পুরসভার কাজ শহরের রাস্তাঘাট পরিস্কার রাখা ইত্যাদি, তবে রাস্তায় কে মাটি, বালি,পাথর ফেলছে এটা দেখার কাজ আমাদের নয়। জেলা প্রশাসন যদি এসব রোধ করতে কোনও পরিকল্পনা করেন এবং আমাদের সহযোগিতা চান, তবে আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবো।
শহরের সাধারণ মানুষের মতে রাস্তায় মাটি, বালি,পাথর বা ইট রেখে দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছেন কিছু ব্যবসায়ীরা। তাদের এ কাজ থেকে বিরত রাখতে জেলা প্রশাসন বা পুরসভা সবাই ব্যর্থ। এমন অবস্থায় শহরের রাস্তা ঘিরে মানুষের দুর্ভোগ গোছাতে কোনো কর্তৃপক্ষ আদৌ এগিয়ে আসবেন কি না এবং এসব কবে বন্ধ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
Pile of sand kept on the road in Vivekananda Road
Comments are closed.