Also read in

করিমগঞ্জের মাকুন্দা হাসপাতালে 'রেটিনাল ক্যামেরা' দিচ্ছেন শচিন টেন্ডুলকার

কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার আবারও উত্তর-পূর্বের জনগনের প্রতি তার সাহায্যের হাত প্রসারিত করলেন।

এবার তিনি আসামের করিমগঞ্জ জেলার মাকুন্দা ক্রিশ্চিয়ান লেপ্রসি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং নিওন্যাটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ‘রেটিনাল ক্যামেরা’ দান করলেন ।

এর ফলে শুধু বরাক উপত্যকাই নয়, পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরা এবং মিজোরাম থেকে আসা রোগীরা ও উপকৃত হবেন।

এর আগেও এই হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন সাজ-সরঞ্জাম দান করেছিলেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।

শচিন তার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই রেটিনাল ক্যামেরা দান করছেন। এই ক্যামেরা ‘প্রি-ম্যাচিউর রেটিনোপ্যাথি’ নির্ণয় করতে সাহায্য করে থাকে। নবজাতকের মধ্যে এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য জটিলতা, যা সময় মতো নির্নয়ের ফলে অন্ধত্ব থেকে নবজাতককে রক্ষা করতে পারে। উল্লেখ্য, সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের চোখের রেটিনার জটিলতায় অন্ধত্বের ঝুঁকি বেশি থাকে এবং শিশুর জন্মের মাসখানেকের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় করা প্রয়োজন। এনআইসিইউতে প্রায় ৪৫ শতাংশ প্রি-টার্ম ডেলিভারির ক্ষেত্রে এই সুবিধা কাজে লাগবে।

বর্তমানে, এই স্ক্রীনিংয়ের সুবিধার জন্য নিকটতম স্থান হচ্ছে ৩৬০ কিলোমিটার দূরবর্তী গুয়াহাটি মহানগরী। এলাকার সাধারণ এবং গ্রামীণ জনগণকে এই সুবিধা প্রদানের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন।

Comments are closed.