Also read in

"ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তকে ব্যক্তিগতভাবে নিন," জেলাশাসককে আবেদন তমাল বণিকের

কাছাড় জেলায় সম্প্রতি পরপর একাধিক ধর্ষণ কাণ্ড ঘটেছে। এতে বিভিন্ন সময় অভিযুক্তদের আটক করলেও পর্যাপ্ত তদন্ত হয় না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দোষীরা শাস্তিও পায় না, ফলে মহিলারা অসুরক্ষিত থাকেন। কাছাড়ের জেলাশাসক একজন মহিলা, তাকে অন্তত এই বিষয়ে বিশেষ নজরদারি করতে হবে এবং তদন্তের বিষয়কে ব্যক্তিগতভাবে দেখতে হবে, এমনটাই মনে করেন শিলচর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিধানসভা নির্বাচনের শিলচর কেন্দ্রের কংগ্রেসের প্রার্থী তমাল কান্তি বণিক। এই দাবি নিয়ে বুধবার জেলাশাসক কীর্তি জাল্লির কাছে এক স্মারকপত্রের মাধ্যমে দাবিটি তুলে ধরেন তিনি।

সম্প্রতি শিলচর এনআইটি সংলগ্ন এলাকায় মণিপুরী সম্প্রদায়ের এক বিধবা মহিলাকে বাইকে লিফট দেওয়ার নামে নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করেছিল তিন যুবক। মহিলা নিজেই থানায় এজাহার দেন এবং তার উপর ভিত্তি করে পুলিশ সোমবার অভিযুক্তদের আটক করে। তবে মহিলাটি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। মনিপুরী সম্প্রদায়ের মহিলাটি দুই সন্তানের জননী এবং একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাফাই কর্মী হিসেবে কাজ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর বাবার বাড়িতেই থাকেন। তার এজাহারের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ কানাইলাল গোয়ালা, মহেশ গোয়ালা এবং সোননাথ কুমার গোয়ালা নামের অভিযুক্তদের আটক করে। তাদের বাড়ি শিলচর এনআইটি সংলগ্ন মধুটিলা গোয়ালা বস্তি এলাকায়।

স্মারকপত্রের মাধ্যমে তমাল কান্তি বণিক বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ, তবে বিভিন্ন সময় এধরনের ঘটনায় পর্যাপ্ত হয় না এবং অভিযুক্তরা পুলিশকে নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। জেলাশাসক নিজে একজন মহিলা ফলে মহিলাদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে রুখে দাঁড়ানো উচিত। এই তিন ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। একজন অসহায় মহিলাকে রাস্তায় একা পেয়ে ধর্ষণ করে তারা দিব্যি পার পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে এভাবে আরও অনেক ঘটনা ঘটতে পারে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকায় আদিবাসী মহিলারা এভাবেই দুর্বৃত্তদের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন। সম্প্রতি ধলাইয়ে আদিবাসী মহিলার সঙ্গে একই ঘটনা হয়েছিল। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এসব আটকানো যাবেনা।’

Comments are closed.