Also read in

বাঘের আতঙ্কে কাঁপছে পূর্বধলাই, এখন পর্যন্ত আহত দশ

কেউ বলছেন বাঘ, কেউ চিতাবাঘ, কেউবা নেহাত শিয়াল, কিন্তু এই জন্তুর আক্রমনে ইতিমধ্যে ১০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন পূর্বধলাইর দিদারখুশ জিপির হরিনাবস্তি সহ আশপাশ এলাকায়। বন বিভাগ থেকে খাঁচা নিয়ে আসা হয়েছে বাঘ ধরার জন্য।

গত এক সপ্তাহ ধরে গরু মহিষের উপর আক্রমণ চালিয়ে আসছিল সেই ‘চিতাবাঘ’ । বৃহস্পতিবার রাতের বেলা মানুষের উপরই আক্রমণ চালায় সেই প্রাণী। এই আক্রমণে আহত হয়েছেন ১০ জন, এর মধ্যে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫ জন। চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন দিগেন্দ্র দাস নামক এক প্রাক্তন শিক্ষক এবং পারুল হোসেন নামের এক স্কুলছাত্র।

এদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে বন বিভাগ। বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের নির্দেশে বনবিভাগের একটি দল খাঁচায় ছাগল পুরে হাজির হয় বাঘ ধরতে। তাদের আশা, ছাগল ধরতে এসে খাঁচায় বন্দী হবে সেই বাঘ। শুক্রবার সোনাইর রেঞ্জার কে কালিদাস সিংহ, ধলাইর মজিবুর রহমান চৌধুরী এবং সদর রেঞ্জার সাহাদত আলী লোহার খাঁচাটি নিয়ে আসেন হরিণাবস্তিতে। সোনাই এলাকার রেঞ্জার কালিদাস সিংহ আশা প্রকাশ করেছেন যে, দুই একদিনের মধ্যেই বাঘটি ছাগল খাওয়ার লোভে এসে পিঞ্জিরার ভিতরে বন্দী হবে। সাথে আবেদন রেখেছেন, খাঁচা বন্দি হওয়ার পর যেন প্রাণীটিকে মেরে ফেলা না হয়। তবে এই জন্তুটি সঠিক কি সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হতে পারছেন না বন বিভাগ। রেঞ্জার কালিদাস সিংহ বলেছেন এটা বাঘ নয়, আবার শেয়ালও নয়, অন্য কোন বন্যজন্তু; স্থানীয়দের মতে এটা চিতাবাঘ।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনো সেই “বাঘ’ ধরার প্রয়াস সফল হয়নি। এদিকে আতঙ্কে দিন-রাত কাটাচ্ছেন, দিদারখোশ দ্বিতীয় খন্ড, গঙ্গানগর সহ আশেপাশের এলাকার গ্রামবাসীরা। বন বিভাগ থেকে আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

Comments are closed.