Also read in

শিলচর মেডিক্যাল কলেজে সক্রিয় নারী পাচার চক্র ! চায়ের সাথে নেশা জাতীয় সামগ্রী পান করিয়ে যুবতী অপহরণ, উদ্ধার লালায়

 

চায়ের সাথে নেশা জাতীয় সামগ্রী পান করিয়ে
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাস থেকে এক যুবতীকে অচেতন করে অপহরণ করলো নারী পাচার চক্র। যদিও বরাতজোরে অপহরণের সাত ঘন্টার মধ্যেই লালা শহরে উদ্ধার হয় যুবতী। আর পুলিশের জালে ধরা পড়ে হাসিনা বেগম নামের নারী পাচার চক্রের এক মক্ষীরানি। তবে অল্টো গাড়ি সহ পালিয়ে যায় দুই যুবক অপহরণকারী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এদিন বিকেলে হাইলাকান্দির মাটিজুরির প্রৌঢ় জসিম আলি লস্কর (পরিবর্তিত নাম) অসুস্থতার জন্য মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন।
সাথে ছিলেন যুবতী কন্যা সাবিনা বেগম (পরিবর্তিত নাম)।

রাত দশটা নাগাদ এক অপরিচিত  মহিলা (সোনাবাড়িঘাটের হাসিনা বেগম) মেডিক্যালের পুরুষ ওয়ার্ডে এসে সাবিনাকে তার সাথে বাইরে চা খাওয়ার জন্য সঙ্গী হিসেবে যেতে অনুরোধ করে। যথারীতি সাবিনা ওই মহিলার অনুরোধে বাইরের চা দোকানে যান। সেখানে চা খাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়েন সাবিনা এবং মঙ্গলবার ভোর রাতে লালা শহরের রেল ক্রসিং এলাকায় নিজেকে আবিস্কার করেন। তখন সাবিনা হাল্লা চিৎকার, কান্না  শুরু করলে লালা পুরসভার সাফাই কর্মীরা সাবিনা সহ শিলচর সোনাবাড়িঘাটের হাসিনা বেগম নামের এক মহিলাকে উদ্ধার করে। যদিও এর আগে অল্টো গাড়ি সহ দুই যুবক পালিয়ে যায়। সাবিনা ও হাসিনাকে ফেলে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় দুই যুবক।

সাবিনার কান্না আর জবানবন্দি শুনে লালার সাফাইকর্মীরা আটকে রাখেন হাসিনা বেগমকে যার ফলে সে পালাতে পারেনি। এদিকে সাবিনা লালা থেকে মাটিজুরিতে তার সম্পর্কের ভাই ফরিজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে ফরিজ উদ্দিন সহ
অন্যান্য নিকটাত্মীয়রাও দ্রুত লালা ছুটে আসেন। তারা হাসিনা বেগমকে লালা পুলিশের হাতে তুলে দেন বলে লালা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান৷

সোনাবাড়িঘাটের হাসিনা বেগম নামের মহিলা, যুবতী সাবিনা বেগমকে কি উদ্দেশ্যে এবং কাদের সহযোগিতায় লালা নিয়ে এসেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লালা পুলিশ হাসিনা বেগমের কাছ থেকে মোবাইল ফোন সহ জনৈক বিষ্ণূ প্রতীম পালের ভোটার আই ডি, প্যান কার্ড, স্টেট ব্যাংকের এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে। হাসিনা জানায়, গাড়ি থেকে নামার সময় ওই দুই যুবক কার্ড ফেলে যায়। লালা পুলিশ পলাতক দুই যুবকের সন্ধানে নামলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে।

Comments are closed.