Also read in

এনআইটি চত্বরে বিধবা মহিলার শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার ৩; কোভিড টেষ্টে মহিলা পজিটিভ

রবিবার সন্ধ্যেবেলা কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় এলাকার তিন যুবক স্থানীয় এক বিধবা মহিলার শ্লীলতাহানি করে। বাইকে লিফট দেওয়ার নামে তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে একে একে তিন জন মিলে ধর্ষণ করে। মহিলা নিজেই থানায় এজাহার দিয়েছেন এবং তার উপর ভিত্তি করে পুলিশ সোমবার তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে। তবে যখন মহিলাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়, তখন জানা যায় তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এতে চাঞ্চল্য দেখা দেয় এবং তিন কয়েদিকে আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।

মহিলার পরিবারের সূত্র মতে জানা গেছে, তিনি দুই সন্তানের জননী এবং একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাফাই কর্মী হিসেবে কাজ করেন। রবিবার সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফেরার সময় এনআইটির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এক পরিচিত যুবক বাইকে লিফট দেওয়ার কথা বলে। তিনি হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন, ফলে তার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তবে সে মধুটিলা যাওয়ার জন্য যে রাস্তায় যেতে হয় সেদিকে না গিয়ে উল্টো রাস্তা ধরে এবং এক নির্জন জায়গায় বাইক থামায়। মহিলা প্রথমে যুবকটির উদ্দেশ্য আঁচ করতে পারেননি, কিন্তু যখন বুঝতে পারেন ততক্ষনে দেরি হয়ে গেছে। যুবকটি একা ছিল না, তার সঙ্গে আরও দুই যুবক যোগ দেয় এবং তারা একে একে সেই মহিলাকে ধর্ষণ করে। তিনি অনেক কষ্টে তাদের হাত থেকে কিছুটা নিজেকে ছাড়িয়ে চিৎকার করতে থাকেন, এতে এলাকার লোকেরা সেখানে উপস্থিত হন। তবে ততক্ষণে তিন যুবক পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। এলাকাবাসীরা মহিলাকে উদ্ধার করেন।

ঘটনায় একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন মহিলাটি, তবে পরিবার এবং আশেপাশের লোকেদের কথায় সাহস যুগিয়ে তিনি ঘুংগুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এর উপর ভিত্তি করে পুলিশ কানাইলাল গোয়ালা, মহেশ গোয়ালা এবং আরেক ব্যক্তিকে আটক করে। তাদের বাড়ি শিলচর এনআইটি সংলগ্ন মধুটিলা গোয়ালা বস্তি এলাকায়।

নিয়ম অনুযায়ী যিনি অভিযোগ করেছেন, তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও বাধ্যতামূলক, ফলে মহিলাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। সেখানে এখন রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক। প্রাথমিক টেস্টেই মহিলার রিপোর্ট পজিটিভ আসে, এতে পুলিশ সহ প্রত্যেকেই কিছুটা ঘাবড়ে যান, কেননা একজন কোভিড পজিটিভ ব্যক্তির সংস্পর্শে প্রায় প্রত্যেকেই এসেছেন।

বিকেলে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে আদালতে পেশ করা হলেও ছিল সম্পূর্ণ কোভিড প্রটোকল। এবার তাদের আইসোলেশনে রাখা হবে এবং রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার পর বাকি জিজ্ঞাসাবাদ হবে। এছাড়া যেসব পুলিশ আধিকারিকরা এদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের কোভিড পরীক্ষা হতে পারে।

পুলিশ বিভাগের অনেকেই এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সময় অপরাধীদের ধরতে গিয়ে তারা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। অপরাধীরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পজিটিভ হচ্ছে এবং পুলিশ আধিকারিকদের সেখান থেকে ভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে।বিধবা মহিলার শ্লীলতাহানীর দায়ে গ্রেফতার ৩, পরে জানা গেল মহিলা কোভিড পজিটিভ ছিলেন

 

রবিবার সন্ধ্যেবেলা কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় এলাকার তিন যুবক স্থানীয় এক বিধবা মহিলার শ্লীলতাহানী করে। বাইকে লিফট দেওয়ার নামে তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে একে একে তিন জন মিলে ধর্ষণ করে। মহিলা নিজেই থানায় এজাহার দিয়েছেন এবং তার উপর ভিত্তি করে পুলিশ সোমবার তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে। তবে যখন মহিলাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়, তখন জানা যায় তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এতে চাঞ্চল্য দেখা দেয় এবং তিন কয়েদিকে আইসোলেশন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।

মহিলার পরিবারের সূত্র মতে জানা গেছে, তিনি দুই সন্তানের জননী এবং একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাফাই কর্মী হিসেবে কাজ করেন। রবিবার সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফেরার সময় এনআইটির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এক পরিচিত যুবক বাইকে লিফট দেওয়ার কথা বলে। তিনি হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন ফলে তার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তবে সে মধুটিলা যাওয়ার জন্য যে রাস্তায় যেতে হয় সেদিকে না গিয়ে উল্টো রাস্তা ধরে এবং এক নির্জন জায়গায় বাইক থামায়। মহিলা প্রথমে যুবকটির উদ্দেশ্য আঁচ করতে পারেননি, কিন্তু যখন বুঝতে পারেন ততক্ষনে দেরি হয়ে গেছে। যুবকটি একা ছিল না, তার সঙ্গে আরও দুই যুবক যোগ দেয় এবং তারা একে একে মহিলাকে ধর্ষণ করে। তিনি অনেক কষ্টে তাদের হাত থেকে কিছুটা নিজেকে ছাড়িয়ে চিৎকার করতে থাকেন, এতে এলাকার লোকেরা সেখানে উপস্থিত হন। তবে ততক্ষণে তিন যুবক পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। এলাকাবাসীরা মহিলাকে উদ্ধার করেন।

ঘটনায় একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন মহিলাটি, তবে পরিবার এবং আশেপাশের লোকেদের কথায় সাহস যুগিয়ে তিনি ঘুংগুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এর উপর ভিত্তি করে পুলিশ কানাইলাল গোয়ালা, মহেশ গোয়ালা এবং আরেক ব্যক্তিকে আটক করে। তাদের বাড়ি শিলচর এনআইটি সংলগ্ন মধুটিলা গোয়ালা বস্তি এলাকায়।

নিয়ম অনুযায়ী যিনি অভিযোগ করেছেন, তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও বাধ্যতামূলক, ফলে মহিলাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। সেখানে এখন রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক। প্রাথমিক টেস্টেই মহিলার রিপোর্ট পজিটিভ আসে, এতে পুলিশ সহ প্রত্যেকেই কিছুটা ঘাবড়ে যান, কেননা একজন কোভিড পজিটিভ ব্যক্তির সংস্পর্শে প্রায় প্রত্যেকেই এসেছেন।

বিকেলে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে আদালতে পেশ করা হলেও এতে ছিল সম্পূর্ণ কোভিড প্রটোকল। এবার তাদের আইসোলেশনে রাখা হবে এবং রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার পর বাকি জিজ্ঞাসাবাদ হবে। এছাড়া যেসব পুলিশ আধিকারিকরা এদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের কোভিড পরীক্ষা হতে পারে।

পুলিশ বিভাগের অনেকেই এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সময় অপরাধীদের ধরতে গিয়ে তারা জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। অপরাধীরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পজিটিভ হচ্ছে এবং পুলিশ আধিকারিকদের সেখান থেকে ভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে।

Comments are closed.