Also read in

বৃষ্টিস্নাত নবমীর রাত পোহাতেই বিষাদের ছায়া, মাকে বিদায় জানানোর আগে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে সিঁদুর খেলা

নবমীর রাতে সেজেগুজে তৈরি হয়ছিলেন অনেকেই, সারারাত পুজো দেখবেন এমনটাই ছিল বাসনা। বাদ সাধল বৃষ্টি, থেকে থেকেই চলল সারারাত ধরে। গাড়ির ভেতরে বসে পুজো প্যান্ডেল গুলো দেখে কিছুটা সাধ না চলেন দর্শনার্থীরা। অনেকগুলো মন্ডপে জল-কাদায় থৈথৈ, ভেতরে ঢুকে গেল না। কমবেশি বৃষ্টি আজও হচ্ছে, মাঝে মাঝে রোদের লুকোচুরি।

যাইহোক, এবার মায়ের বিদায়ের পালা, চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে সিঁদুর খেলা।সিঁদুর খেলা, আক্ষরিক অর্থে বধুদের এক মিলন খেলা, এটি বাংলা হিন্দু ঐতিহ্য যেখানে বিবাহিত মহিলারা দশমী পূজার শেষে মায়ের পায়ে সিঁদুর দিয়ে তারপর একে অপরের কপালে, মুখে এমনকি সমস্ত শরীরে সিঁদুর দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং তাকে মিষ্টি উপহার দেন। সিঁদুর খেলার পরই শুরু হয় বিসর্জনের বাজনা ‘মাকে ভাসাইয়া জলে কি ধন লইয়া যাইমু ঘরে’।

অন্যান্য বারের ন্যায় এবারো জেলা প্রশাসন এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে যৌথ উদ্যোগে শান্তিপূর্ণভাবে দেবী প্রতিমা নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিলচর সদরঘাটের বিসর্জন ঘাটে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া শুরু হবে সকাল দশটায়, চলবে গভীর রাত পর্যন্ত‌। সকালের দিকে সাধারণত বাড়ির প্রতিমা গুলো বিসর্জন করা হয়।

ইতিমধ্যেই শিলচর পৌর এলাকায় দুপুর ১২টা থেকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের যানবাহন প্রবেশ করায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

করিমগঞ্জে বিসর্জন ঘাট এবং লঙ্গাইঘাটে বিসর্জন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে সকাল ১২টায়।

হাইলাকান্দি শহরের গান্ধীঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হবে সকাল দশটায় ‌। প্রতিটি বিসর্জন ঘাটে পুলিশের সাথে এক জন করে ম্যাজিস্ট্রেটকে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রাখা হবে।

বরাক উপত্যকার তিনটি জেলায় ইতিমধ্যেই এই বিজয়া দশমীর দিনটিকে ড্রাই ডে ঘোষণা করা হয়েছে; সমস্ত লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকান, রেস্তোরাঁ, বার ইত্যাদিতে মদ বিক্রয় এবং পরিবেশন নিষিদ্ধ।

যাইহোক উপত্যকা জুড়ে পরিবেশ, ‘আবার এসো মা’ ।

Comments are closed.