Also read in

'Act East Policy' may be a key to change the fate of Barak

মায়ানমার- শিলচর- বাংলাদেশ এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে মোদি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যাক্ট ইস্ট পলিসিকে সামনে রেখে খুলতে পারে বরাকের ভাগ্য। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে আসিয়ান ভুক্ত দেশ গুলির বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে সম্প্রতি জোরদার প্রয়াস চলেছে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ‘সম্পর্ক যাত্রা’য় আসাম থেকে মন্ত্রী-বিধায়ক প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশ এবং মায়ানমার ঘুরে এসেছেন।

মায়ানমার – ইম্ফল-শিলচর -করিমগঞ্জ-সুতারকান্দি- সিলেট এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য সোনাইর বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর।

গত ২৬ জুন মেঘালয়ের ডাউকি হয়ে শুরু হয়েছিল অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে সম্পর্ক যাত্রার প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ যাত্রা। বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে। সিলেটে দুই দেশের সম্পর্ক এবং বাণিজ্য উন্নয়নের ব্যাপারে মতবিনিময় শেষে সুতারকান্দি, করিমগঞ্জ হয়ে শিলচর আসেন। শিলচরে ও বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সদর্থক বৈঠক হয়। ২৯ জুন প্রতিনিধি দল কলকাতা হয়ে বিমানে ইম্ফল পৌঁছান, সেখান থেকে সড়ক পথে মায়ানমার। রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় শিলচরের বিধায়ক দিলীপ পাল যেতে পারেননি মায়ানমার।

মায়ানমারে ও সম্প্রীতি পূর্ণ পরিবেশে বাণিজ্য প্রসারে আলাপ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানী ইয়াঙ্গুন বৈঠকে ভারতীয় পণ্যের মায়ানমারে বাজারে বিক্রয় নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়। বর্তমানে চীনা পণ্য মায়ানমার জুড়ে রয়েছে, সেই বাজার ধরতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে এই এক্সপ্রেস ওয়ের খুবই প্রয়োজন। বাংলাদেশ-ভারত- মায়ানমারের পণ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসার এক নতুন দিগন্ত খুলতে পারে শিলচরের ব্যবসায়ীদের।

Comments are closed.