Also read in

"I quit, GOI is responsible for my death", that's the suicide note of Biswajit Mazumder

আত্মহত্যার আগে এইচপিসির জাগীরোড মিলের কর্মী বিশ্বজিৎ মজুমদার তার শেষ বয়ানে লিখে গেলেন তার মৃত্যুর কারণ। মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গেলেন ভারত সরকারকে। ইংরেজিতে স্কেচ পেন দিয়ে ডাবল ডোর ফ্রিজের উপরের দরজায় লিখে গেলেন, I quit, GOI is responsible for my death অর্থাৎ আমি চললাম, ভারত সরকারই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। এই সুইসাইড-নোট প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে সকল দ্বিধা দ্বন্দের অবসান হলো, স্পষ্টতই ২৮ মাস বেতনহীন অবস্থায় অসহনীয় পরিস্থিতিতে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হলো তাকে। ফ্রিজের দরজায় বাবার এই লেখা আজ তার দুই মেয়ে এসেও পড়লো এবং কাঁদল।

উল্লেখ্য,বিশ্বজিৎ মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ ২৯ এপ্রিল জাগীরোড পেপার মিল কমপ্লেক্সের ভিতরে হোস্টেলের ৬ নম্বর কোঠা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।। বিগত ২৮ মাস ধরে বেতন থেকে বঞ্চিত বিশ্বজিৎ মজুমদার হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে তার সহকর্মীরা অনুমান করছেন।

পঞ্চান্ন বর্ষীয় মজুমদারের মূল বাড়ি কলকাতায। নওগাঁ’র হিন্দুস্তান পেপার মিলে কলকাতা থেকে চাকরি করতে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ।

এখানে উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে পাঁচগ্রাম কাগজ কলের কর্মী পার্থ ধরের (৫৪) মৃত্যু হয়েছিল। মৃত্যুর তাৎক্ষণিক কারণ ছিল উচ্চ রক্তচাপ। যদিও সহকর্মীরা মৃত্যুর কারণ হিসেবে আর্থিক দুর্দশা এবং দৈন্যতাকে দায়ী করছেন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কাগজ কলে কাজ হারিয়ে ২০১৫ সাল থেকে এখন অবধি অর্থকষ্ট তথা নানা কারণে ৫৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যু মিছিলে নতুন সংযোজন বিশ্বজিৎ মজুমদার। এই মৃত্যু মিছিলের এখানেই সমাপ্তি ঘটুক, এটাই চাইছেন কাগজ কলের কর্মী সহ সাধারণ জনগণ।

Comments are closed.