Also read in

Mirabai Chanu lifts hope of Indian Contingent in Tokyo, wins Olympic Silver for India

টোকিও অলিম্পিকে পদক এর খাতা খুলল ভারত। মনিপুরের ২৬ বছরের ভারোত্তোলক মীরাবাঈ চানুর হাত ধরে। শনিবার একাধিক পদক জয়ের আশা নিয়ে অভিযান শুরু করেছিল ভারত। কিন্তু পোডিয়াম এ উঠলেন শুধু চানু। দেশকে এনে দিলেন সিলভার। ভারতের দ্বিতীয় মহিলা ভারোত্তোলক হিসেবে অলিম্পিকে পদক জিতলেন চানু। এর আগে ২০০০ সালে সিডনি গেমসে দেশের প্রথম মহিলা ভারোত্তোলক হিসেবে পদক জিতে ছিলেন কারনাম মালেশ্বরী। তিনি জিতেছিলেন ব্রঞ্জো।

 

২০১৬ রিও অলিম্পিকে ব্যর্থ হয়েছিলেন চানু। আজ তার শাপমোচন হলো। অলিম্পিকের মঞ্চে ইতিহাস গড়লেন মনিপুরের ভারোত্তোলক। ৪৯ কেজি বিভাগে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। অলিম্পিক শুরুর আগে থেকেই তাকে ঘিরে পদক জয়ের প্রত্যাশা করছিল গোটা দেশ। করোনার জেরে টোকিও অলিম্পিকের প্রস্তুতিতেও বারবার বাধা পেতে হয়েছে চানুকে। গেমসের প্রস্তুতির জন্য তিনি গত কয়েক মাস থেকে দেশের বাইরে ছিলেন। কথা ছিল মার্কিন মুলুকে তিনি প্রস্তুতি নেবেন। তবে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রচুর লোক মারা যাওয়ায় আমেরিকা ভারতীয়দের জন্য দরজা বন্ধ করে দেয়। এতে চানুর প্রস্তুতি বাধাপ্রাপ্ত হয়। তবে আজ টোকিওতে সব বাধাই টপকে গেলেন মনিপুরী ভারোত্তোলক। আর দেশবাসীর জন্য এনে দিলেন গর্ব করার মতো একটি মুহূর্ত।

মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নংপক কাকচিং গ্রাম। সেই গ্রামের এক নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন চানু। ২০০৮ সালে ইম্ফলের সাই সেন্টারে তিনি ভর্তি হন। সেখান থেকেই শুরু হয় তার লড়াই। রিও অলিম্পিকে ব্যর্থ হবার পর তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে ক্যারিয়ারের কোন সময়ই নিজের সামর্থ্য উপর আস্থা হারাননি চানু। আজও হারালেন না। অন্য ভারোত্তোলকরা যখন একে একে ব্যর্থ ছিলেন তখনও নিজের সামর্থে রাখেন চানু। আর সেই সুবাদে দেশকে এনে দিলেন টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক।

Comments are closed.