Also read in

"Not doing duty properly": Four Karimganj-jail employee suspended

করিমগঞ্জে কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে বরখাস্ত চার জেলকর্মী

কর্তব্যরত অবস্থায় গাফিলতির দরুন চাকরি থেকে নিলম্বিত করা হলো করিমগঞ্জ জেলা কারাগারের চার কর্মীকে। শনিবার আইজিপি, দিসপুরের নির্দেশে রঞ্জন কুমার চৌ, রঞ্জন নাথ, কালি কুমার দাস এবং আতাউর রহমান লস্কর নামের চারজন পুলিশ কর্মীকে চাকরি থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয় ।

গত ২০ জুন রাত্রে করিমগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র থেকে জানালা ভেঙে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্তে নিলম্বিত চার কর্মীর গাফলতি প্রমান হওয়ায় তাদেরকে বরখাস্ত করা হয় । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করিমগঞ্জ জেলা কারাগারে কিন্তু এই প্রথম নয়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি আরো দুইজন কয়েদি পালিয়েছিল রাত্রের অন্ধকারে দেওয়াল টপকে । তবে ২০ জুনের ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে পড়ে জেলা প্রশাসন । শেষে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা শাসক আনবামুথান এমপি।

উল্লেখ্য, হোজাইর ফয়জুর রহমান, পাথারকান্দির মাশুক আহমদ ও বাজারিছড়ার ছলামনার ওয়াহিদ আলিকে জেলা কারাগারে এক কুঠুরিতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিলো । ২০ জুন গভীর রাত আনুমানিক দুটা নাগাদ জেল কুঠুরির জানালা ভেঙে প্রহরারত নিরাপত্তা কর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে তিন কয়েদি পালিয়ে যায়।

হোজাইর ফয়জুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা সহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের মামলা চলছিলো। বদরপুর থানায় ১০৫/১৮ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০(বি)৩০২,৩৭৯,৩৪ অন্যদিকে পাথারকান্দির মাশুক আহমদ ও বাজারিচড়া ছলামনার ওয়াহিদ আলির বিরুদ্ধে ড্রাগস কারবার ও চুরির মামলা চলছিলো। পাথারকান্দি থানায় দুই জনের বিরুদ্ধে ৩৩১/২০২০ নং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯/৪১১/৪১৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

জেলা কারাগার থেকে একের পর এক দুর্ধর্ষ কয়েদিদের পলায়নকে কেন্দ্র করে সমগ্র জেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে । আর ঠিক মাস চারেক পূর্বে জেলার বহু চর্চিত ভাঙার হবিবুল হত্যাকাণ্ডের মূল আসামী ও এক বাংলাদেশি কয়েদি জেলের পাঁচিল টপকে পালিয়ে গিয়েছিলো। জেলা পুলিশ প্রশাসন কিন্তু এখন পর্যন্ত এদের পুনরায় পাকড়াও করতে সমর্থ হয়নি।

Comments are closed.