Also read in

Rajdeep talks to CM over phone in front HPC workers, special meeting with Sonowal on February 23

নিজের বাড়িতে কাগজকল কর্মীদের ডেকে তাদের সামনেই মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে কথা বললেন সাংসদ রাজদীপ রায়। ২৩শে ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর শিলচর সফরের সময় কাগজকল কর্মীদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক আয়োজন করা হবে। সেখানে তাদের সমস্যাগুলো শোনা হবে এবং অতিসত্বর অন্তত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে, এমনটাই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

 

২ ফেব্রুয়ারি বিধায়ক দিলীপ কুমার পালের বাড়ির সামনে ধর্নার প্রায় তিন সপ্তাহের মাথায় সাংসদ রাজদীপ রায়ের বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন কাগজ কল কর্মীরা। সেদিন বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি গুয়াহাটি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এব্যাপারে সামনাসামনি কথা বলবেন এবং প্রয়োজনে কাগজকল কর্মচারীদের প্রতিনিধিদের ডেকে নেওয়া হবে। আশ্বাস পেয়ে তারা ধর্না প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু বিধানসভা অধিবেশনে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। কর্মীরা ঠিক করেছিলেন নির্বাচনের আগে বরাক উপত্যকার প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির বাড়ির সামনে ধর্না দেবেন। সেই অনুযায়ী শনিবার শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়ের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন তারা। প্রায় তিন ঘণ্টা ধর্না চলার পর ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন রাজদীপ রায়। বলেন, সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার সময় তার বাড়িতে আসতে, এর আগে তিনি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন, এরপর কাগজকল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা নিয়ে কি করা সম্ভব, সেটা কর্মচারীদের পাশে বসে আলোচনা করবেন। এই আশ্বাস পেয়ে তখনকার মত  ধর্না স্থগিত রেখে বাড়ি ফিরে যান কাগজকল কর্মীরা।

 

সন্ধ্যেবেলা তারা ঠিক সময়ে সাংসদের বাড়িতে উপস্থিত হন এবং প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক চলে। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আশ্বাস পেয়ে তারা ফিরে গেলেও মনে দ্বিধা থেকে গেছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজেদের অনুভূতি তুলে ধরতে গিয়ে তারা বলেন, “অন্তত ১৮ বার মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এমনকি শিলচরে এসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ মহাশয়ের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি আশ্বাস দেওয়ার পরেও কাজ এগোয়নি। তবু তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং সমস্যার সমাধান করতে হবে তাকেই, ফলে আবার যখন আমাদের ডাকা হয়েছে আমরা যাব। যতদিন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না অথবা সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে না, আমরা সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এবার তাদের প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া, অন্তত এটুকু হলে আমরা নিজেদের জীবন রক্ষা করতে সমর্থ হব। তবে কাগজ কল পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে রিভাইবাল প্ল্যান এনসিএলটি’র জমা দেওয়ার যে কথা ছিল, সেটা তারা করেননি। দেশের অন্যান্য রাজ্যে এভাবে অনেক পুরনো শিল্পকে রক্ষা করেছে সরকার কিন্তু অসমে কোন বিশেষ কারণে এক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখানো হচ্ছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে তার কাছে এব্যাপারে জানতে চাইবো।’

বৈঠকের পর সাংসদ রাজদীপ রায় বলেন, “তাদের সমস্যা আমার কাছে এবং আমাদের সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাগজ কল পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি না, তেমনটা নয়। তবে বিভিন্ন দিক রয়েছে যার জন্য উদ্দেশ্য এখন সফল হয়নি। তবে এই মুহূর্তে আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কাগজকল কর্মীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। তাদের সামনে বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং বিত্তমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলেছি। মুখ্যমন্ত্রী ২৩ বা ২৪ তারিখে শিলচরে আসছেন এবং সেই সময় কাগজকল কর্মচারীদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসার আশ্বাস দিয়েছেন। সানোয়াল এমন একজন ব্যক্তি তিনি কথা দিলে কথা রাখেন, এছাড়া জটিল সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। আমার বিশ্বাস এই বৈঠকে সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে।”

Comments are closed.