Also read in

Silchar forgets lockdown; People in large numbers shopping on the roads

লকডাউন ভুলে শুক্রবার শহরের পাড়ায় পাড়ায় জনসমাগম, প্রশাসনের চোখ রাঙানিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা শিলচর সফরে এসে বলেছিলেন জনগণের স্বার্থে পাড়ায় পাড়ায় কিছু কিছু দোকানপাট খোলার পাশাপাশি সব্জি-মাছ কেনাকাটা করা যেতে পারে। সাবধানতা বজায় রেখে কাজটা করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তবে শিলচর শহরে শুক্রবার সকালে দেখা গেল অন্য চিত্র। প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় বাজার করার নামে প্রায় জনসমাবেশ। কিছু কিছু দোকান মালিকরা যদিও চক দিয়ে সার্কেল বানিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। তবে সকালে শিলচর শহরকে দেখে মনে হয়নি এখানে লকডাউন বলে কিছু রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুদিন আগে সারাদেশের মানুষের কাছে আবেদন রেখেছিলেন খুব জরুরী কাজ না থাকলে কেউ যেন ঘর থেকে না বেরোন। বাইরে বেরোলেও মাস্ক, সেনিটাইজার ইত্যাদি সঙ্গে রেখে একে অন্যের থেকে অন্তত ১ মিটার দূরত্ব পালন করেন। তার কথায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ দেশের মানুষ সম্মতি জানান। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানগুলো খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে দোকানগুলোয় ভিড় উপচে পড়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে সেগুলো বন্ধ করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী শাক সব্জি বিক্রির অনুমতি দেন। আর এই অনুমতিকে কাজে লাগিয়ে শুক্রবার সকালে শহরের একাংশ মানুষ আচমকা লকডাউন ব্যাপারটাই ভুলে যান। প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের প্রত্যেক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বারবার করে মানুষকে বলছেন আপনারা করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে দূরে রাখতে ঘরেই থাকুন। টানা ২১ দিন একে অন্যের সংস্পর্শে না এলে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশকে বাঁচানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সমাজের একাংশ মানুষ বারবার কথাটুকু ভুলে যান।

হেমন্ত বিশ্বাস শর্মা নিজেও এব্যাপারে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন। প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব থেকে শুরু করে শহরের অনেকেই শুক্রবার সকালের চিত্র দেখে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন।

পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দেবরায় বৃহস্পতিবার এক বার্তা পাঠিয়ে জেলার প্রত্যেক মানুষকে বলেছিলেন প্রত্যেকে যেন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নিজের পাড়ায় কেনাকাটা করেন। তবে শুক্রবার সকালে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে যাওয়ায় দুপুর দিকে পুলিশের দল পাঠিয়ে প্রায় প্রত্যেক এলাকায় বাজার আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেনা জওয়ানদের সঙ্গে মিলে রাস্তার পাশে বসা বাজারগুলোকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ যদি সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বজায় রাখতে না পারেন তবে আগামীতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।

Comments are closed.