Also read in

Soumitra Choudhury's dancer circle, singer Manjusree Das performs in Sachin Dev festival in Bangladesh

সৌমিত্র’র ‘ডান্সার সার্কল’ এর অনুষ্ঠান বাংলাদেশে শচীন দেব বর্মন উৎসবে

শিলচরের ‘ডান্সার সার্কল’ বাংলাদেশের ‘বহ্নিশিখা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় শচীন দেব বর্মণ সঙ্গীত উৎসব, ২০১৮ তে যোগ দান করে অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছে। গত ২৩ নভেম্বর ঢাকায় শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বহ্নিশিখা’ আয়োজিত শচীন দেব বর্মন সংগীত উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘ডান্সার সার্কোল’র শিল্পীরা নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করেন। নৃত্যানুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার সৌমিত্র শঙ্কর চৌধুরী।

 

গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় সংগীত উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিন দিন ব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে ছিল উৎসবের আহ্বায়ক ‘বহ্নিশিখা’র শিল্পীদের বৃন্দগান, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীদের অনুষ্ঠান এবং সর্বশেষ অনুষ্ঠানটি ছিল শিলচরের ডান্সার সার্কেলের নৃত্যানুষ্ঠান। নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন মালশ্রী চৌধুরী, দেবশ্রী দেব, শম্পা বণিক, গৌরবি সাহা, অনিমিতা ভৌমিক, রুপালি দেবনাথ ও গৌতম দাস। অনুষ্ঠানটির সহযোগিতায় ছিলেন ধর্মনগরের কলা মন্ডলের শিল্পীরা।

 

এই একই অনুষ্ঠানে যোগদান করে সংগীত পরিবেশন করেন শিলচরের মঞ্জুশ্রী দাস ও বিধান লস্করও। বিধান লস্কর সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে কিবোর্ডেও ছিলেন। বিপ্রতীপ রায় অক্টোপ্যাডে এবং পরিমল দাস তবলায় সহযোগিতা করেছেন।

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতি এক বছর পর পর শচীন দেব বর্মনের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে ঢাকায় এই সংগীত উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে যোগদান করে শিলচরে ফিরে এসে ডান্সার সার্কলের প্রধান সৌমিত্র শঙ্কর চৌধুরী আমাদের জানালেন, “বাংলাদেশের ঢাকায় অনুষ্ঠান করে আমরা অভিভূত। এবার নিয়ে তিনবার ঢাকায় অনুষ্ঠান করেছি। যতবারই অনুষ্ঠান করতে বাংলাদেশ গেছি, ততবারই ওদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছি।”

 

” এবারও আমাদের অনুষ্ঠান দর্শকদের প্রচণ্ড প্রশংসা কুড়িয়েছে। আমাদের নৃত্যানুষ্ঠানটিতে লোকায়ত ভাবনার ছোঁয়া আছে বলে আরো বেশি করে ওদের হৃদয় ছুঁতে পেরেছে।” বলে দাবি জানালেন সৌমিত্র।

 

তিনি উল্লেখ করেন,”এখানে একটা ব্যাপার হচ্ছে, শচীন দেব বর্মন যদিও কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেছেন, কিন্তু তার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সবটাই ভারতে। তিনি ভারতেরই একজন। অথচ শচীন দেব বর্মনকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের উৎসাহ সত্যি প্রশংসার যোগ্য। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তরিকভাবে এক বছর পর পর যেভাবে শচীন দেবকে নিয়ে উৎসব করেন, তাদের এই উদ্যোগটা দেখার মত।”

 

এদিকে শিল্পী মঞ্জুশ্রী দাসও খুশি আয়োজকদের আয়োজন ও বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায়। তিনি বললেন, ” বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তাতো অবশ্যই উল্লেখযোগ্য, এর সাথে শিল্পী হিসেবে বড় প্রাপ্তি ছিল বাংলাদেশের শ্রোতা। শ্রোতারাও যে এত সুরেলা হন, বুঝলাম আমাদের সব শেষের গানে যখন শ্রোতারা গলা মেলালেন। এত সুন্দর করে গাইলেন সবাই যে শিল্পী এবং শ্রোতা মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছিল। আমরা চেষ্টা করেছি, শচীন দেব বর্মনের যে গানগুলো বেশি শোনা যায় না সেগুলো পরিবেশন করতে। গানের মধ্যে মধ্যে ছিল শচীন দেব বর্মনের জীবনী নিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ নানাবিধ গল্প।”

Comments are closed.