Also read in

Success for Extreme Martial Arts; Silchar's Arkajyoti in team India

এক্সট্রিম মার্শাল আর্টস এর সাফল্য, ভারতীয় সাভাতে দলে প্রতিনিধিত্ব করবেন ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন শিলচরের অর্কজ্যোতি

২৬ অক্টোবর : ২০১৮ সালে ভারতে মার্শাল আর্টেরই একটি অংশ সাভাতে এর প্রচলন শুরু হয়েছিল। একই সঙ্গে শিলচরেও সাভাতের যাত্রা শুরু হয়েছিল। রামেশ্বর দাসের হাত ধরে। শহরের হাসপাতাল রোডে এক্সট্রিম মার্শাল আর্টের প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। শুরু হয় পথচলা। মার্শাল আর্ট সম্পর্কে এই অঞ্চলে তেমন ধারনা নেই। যদিও সাম্প্রতিককালে এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তারপরও অধিকাংশই এটাকে শুধু আত্মরক্ষার একটা প্রক্রিয়া হিসেবেই বিবেচনা করে থাকেন। তবে বাস্তব হচ্ছে মার্শাল আর্টের বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে। যা স্পোর্টস হিসেবেও গোটা বিশ্বে বিবেচিত হচ্ছে। এটা যেমন আপনাকে ফিট থাকতে সাহায্য করে, তেমনি একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবেও আপনি মার্শাল আর্টের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নিজের শহর এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারবেন।

জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক মঞ্চে খ্যাতি অর্জন করতে পারবেন। ঠিক এমনটাই করে দেখিয়েছেন শিলচরের ছেলে এক্সট্রিম মার্শাল আর্টের ছাত্র অর্কজ্যোতি রায়চৌধুরী।
গুটি গুটি পায়ে যাত্রা শুরু করলেও তিন বছরে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে সাভাতে। সেইসঙ্গে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে এক্সট্রিম মার্শাল আর্ট। এই মুহূর্তে রামেশ্বর দাসের অধীনে প্রায় ১০০ জন পরীক্ষার্থী এক্সট্রিম মার্শাল আর্টে ট্রেনিং নিচ্ছেন। রামেশ্বর বাবুর কাঁধেই রয়েছে অসম সাভাতে সংস্থার দায়িত্ব ও। এই মুহূর্তে তিনি সংস্থার সভাপতি পদে রয়েছেন। সেইসঙ্গে গোটা নর্থইস্ট এর দায়িত্ব ও তাকে দেওয়া হয়েছে।


সম্প্রতি তার ছাত্র অর্কজ্যোতি রায়চৌধুরী জাতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন। অসম থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ন্যাশনাল সাভাতের চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন অর্ক। কোচ অথবা ম্যানেজার ছাড়াই সেই আসরে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তারপরও সোনা ছিনিয়ে নেন শিলচর মিশন রোডের বাসিন্দা দেবাশীষ রায় চৌধুরী ও বিথীকা রায় চৌধুরীর ছেলে। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র তে ৮৫+ ক্যাটাগরিতে সোনা জিতেছিলেন অর্ক। ৯-১০ অক্টোবর বসেছিল সেই চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। আসরে দেশের মোট ১৮টি রাজ্যের প্রায় দেড়শ প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন।
জাতীয় স্তরে সাফল্য পাবার পর এবার ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ান সাভাতে চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন অর্কজ্যোতি। সেদিকে নজর রেখে প্রস্তুত হচ্ছেন অর্ক। তিনি জানান গত দু’বছর থেকে রামেশ্বর দাসের অধীনে এক্সট্রিম মার্শাল আর্টে ট্রেনিং নিচ্ছেন। শুরুতে তিনি ছিলেন মার্শাল আর্টেরই আরো একটা অংশ মইথাই এর পরীক্ষার্থী। সেখান থেকে সাভাতের ট্রেনিং শুরু করেন। দু মাসের ট্রেনিং এর পর তিনি সাভতের সঙ্গে মানিয়ে নেন।
এই সাভাতে হচ্ছে ইউরোপিয়ান মার্শাল আর্টস এর একটা অংশ। ১৯২৪ প্যারিস অলম্পিকে এটা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হয়েছিল। রামেশ্বর আশা করছেন, ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকেও এই সাভাতেকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ভারতে ইতিমধ্যেই হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে সাভাতে স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই রাজ্যেও খুব শীঘ্রই এটা স্বীকৃতি আদায় করে নেবে। অভিষেক ঘটার পর থেকে এখন পর্যন্ত তিন বছরে মোট তিনটি ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছে শিলচরের এক্সট্রিম মার্শাল আর্ট। ২০১৮ সালে চন্ডিগড় সাভাতে চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা শৃঙ্খলাপরায়ন দলের পুরস্কার পেয়েছিল তারা। এছাড়া এবছরই দিল্লিতে শিখ ন্যাশনাল গেমস এ বেশ নজরকাড়া পারফর্ম করে এক্সট্রিম মার্শাল আর্টস। এপ্রিলের সেই আসরে মোট চারটি সোনা, ছয়টি রুপো ও দুটি ব্রোঞ্জ জিতে ছিলেন এক্সট্রিম মার্শাল আর্টস এর ছাত্ররা।

Comments are closed.