Also read in

"There is no corruption in Gandhi Bagh project; People are spreading rumours": APDL

গান্ধীবাগের এক ইঞ্চি জমিও বেহাত হয়নি, জালিয়াতি হয়নি টেন্ডারে, জানালো এপিডিএল

গান্ধীবাদ বিতর্ক নিয়ে এবার মাঠে নামলো নির্মাণ সংস্থা এপি ডিএল। গান্ধী ভাগের এক ইঞ্চি জমিও লিজ দেয়নি শিলচর পৌরসভা, হয়নি দরপত্র নিয়েও নেই কোনো দুর্নীতি। সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্পষ্ট ভাষায় তারা জানিয়েছেন প্রস্তাবিত পার্ক নির্মাণে সবুজায়ন হবে, বিশ্বমানের অত্যাধুনিক বিনোদন পার্ক উপহার পাবে শিলচরের নাগরিকরা। সোমবার আসাম প্রগ্রেসিভ ডেভেলপারের তরফ থেকে তাদের নিজস্ব কার্যালয়ে ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পার্থ সারথি চৌধুরী জানান, পুরসভা এক ইঞ্চি জমিও দেয়নি তাদের। চুক্তিপত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে কোথাও জমি লিজ দেওয়ার প্রসঙ্গ নেই, নেহাতই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বাস্তবে গান্ধীবাগ এলাকায় প্রায় ১৮ বিঘা জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে, সেখানে ঝোপঝাড় ছাড়া আর কিছুই নেই। বর্তমানে সাপনালা আবর্জনায় পূর্ণ হয়ে অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে। সেই নালা সংরক্ষণ করে পরিত্যক্ত জমিতে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে শহরবাসীর জন্য অত্যাধুনিক পার্ক উপহারের জন্যই এই দরপত্র আহ্বান করে শিলচর পৌরসভা, এতে দুর্নীতির কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

অ্যামিউজমেন্ট পার্ক সম্বন্ধে বলতে গিয়ে এপিডিএলের ডিরেক্টর রাজেশ কান্তি পাল জানান, সাপনালাটি দীর্ঘদিন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে, প্রকল্প রূপায়ণ তাহলে এই নালার দুই পার কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো হবে, নালাতে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সাপনালা সংলগ্ন এলাকায় মর্নিং ওয়াকের জন্য ট্র্যাক তৈরি করে দেওয়া হবে। গান্ধীবাগে জলাশয় এলাকা আরো বাড়বে; যেসব রাইডার আসবে সেগুলোর সবগুলোই জলাশয় নির্ভর। তিনি দাবি করেন, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক হলে কমপক্ষে ৫০০ পরিবারের লোকের কর্মসংস্থান হবে। পরিবেশবান্ধব সামগ্রী দিয়ে গড়ে তোলা হবে শিলচরের পার্ক।

প্রস্তাবিত প্রকল্পে বর্তমান গান্ধী ভবন, গান্ধীবাগ পার্ক,শিশু উদ্যান, জাতীয় ব্যায়াম বিদ্যালয়, বিপিন পাল সভাস্থল, শহীদ মিনারের স্থানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাই গান্ধী ভবনে রেস্টুরেন্ট তৈরির কোন পরিকল্পনা নেই।

এই প্রকল্পেলাগানো হবে ১০০ নিম, দেবদারু প্রভৃতি উন্নত জাতের গাছ। আর পিপিপি মডেল হলে সেখানে কমার্শিয়াল এ্যাকটিভিটি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রায় ১৬ বিঘা জমিতে বিশ্বমানের বিনোদন পার্ক নির্মাণে বেশ কয়েককোটি টাকা লগ্নি করতে হবে। সেই পার্কের অঙ্গ হবে কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স। এর বিনিময়ে স্টার ক্যাটেগরির একটি হোটেলের অ্যালটমেন্ট পাবে এপিডিএল, তবে এর ভাড়া পাবে পুরসভা। হিসেব করলে দেখা যাবে বছরে কম করেও ৭৫ লক্ষ টাকা আয় হবে পুরসভার।

উল্লেখ্য, আগামীকাল দুসরা অক্টোবর ও এই গান্ধীবাগের সবুজায়ন ধ্বংসের বিরুদ্ধে আন্দোলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ‌

Comments are closed.