Also read in

"অসমীয়া ভাষার বিরুদ্ধে নয়, প্রতিবাদ চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে," পোস্টার মুছে ফেলার একদিন পরে সুর নরম

গতকাল বরাক ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফ্রন্ট এবং অল বাঙালি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের সদস্যরা অসমিয়া ভাষায় প্রকাশিত একটি সরকারি বিজ্ঞাপন কালো কালি দিয়ে মুছে ফেলে। শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে এই হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল যেখানে ১১ জন শহীদ হয়েছিলেন বাংলাকে বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা হিসেবে সুরক্ষিত করার জন্যে।

গতকাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সদস্যরা বলেছিলেন যে, বরাক উপত্যকায় কেবলমাত্র বাংলা যোগাযোগের সরকারী ভাষা হওয়া উচিত। সংগঠনের সদস্যদের দেওয়া জোরালো বক্তব্য রাজ্যের রাজধানীতেও মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

আজ বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের আহ্বায়ক ঋষিকেশ দে সুর নরম করার চেষ্টা করেছিলেন, তবে প্রতিবাদ অব্যাহত ছিল। “আমাদের প্রতিবাদ অসমিয়া বা অন্য কোন ভাষার বিরুদ্ধে নয় বরং এটি চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে এই সরকার বিভিন্ন উপায়ে অসমিয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই পোস্টারটি এরকম আরেকটি প্রচেষ্টা এবং সেজন্য আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই ,” দৃড়ভাবে বলেন দে।

তিনি আরও বলেন, “অসমিয়ার পাশাপাশি, পোস্টারে যদি বাংলা এবং ইংরেজি ভাষাও থাকত, তাহলে কোনো সমস্যা হতো না। ৯০% জনতা সেই বিলবোর্ডে যা লেখা আছে তা পড়তে পারবে না, তাই, এটি কেবল একটি সরকারী অর্থের অপচয়। সরকার কেন পোস্টারে বাংলা যোগ করতে পারে না!

তিনি মনে করিয়ে দেন যে, এই একই বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট একটি অসমিয়া মিডিয়াম স্কুলকে একটি বাংলা মাধ্যম স্কুলের সাথে একীভূত করার নির্দেশের বিরোধিতা করেছিল। তিনি বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম যে বিদ্যালয়টি একটি পৃথক সত্তা হিসেবে অস্তিত্ব লাভ করুক কারণ এটি ঐক্যের বার্তা পাঠায় এবং একই সাথে অসমিয়া মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিশুদের জন্য একটি সুযোগ প্রদান করে।”

সরকার এখনও এই বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে যদি একটি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্বাস করা হয়, তাহলে মন্ত্রিসভার বরিষ্ঠ নেতারা ঘটনাগুলি খতিয়ে দেখেছেন।

Comments are closed.