Also read in

হাইলাকান্দিতে এন আর সি কর্মীদের প্রতিবাদ,উত্তেজনা, ছুটে এলেন উপায়ুক্ত

 

রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জির কাজের পর্যবেক্ষণে এসে এডিসির এন আর সি  কাজে নিযুক্ত শিক্ষক কর্মচারিদের সাথে অভব্য আচরনের অভিযোগে বুধবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে হাইলাকান্দির কাটলিছড়া।  এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ কাটলিছড়া চালমার্স উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন আর সির বকেয়া ভেরিফিকেশন কাজ পর্যবেক্ষণ করতে  আসেন হাইলাকান্দির এন আর সির দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিসি এল ফাইরেন।

আর এই পর্যবেক্ষণের সময় শিক্ষক  কর্মীদের সাথে আশালীন আচরণ,কটুক্তিকে কেন্দ্র করে  এক সময় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।এডিসি ফাইরেনের কটুক্তির মুখের ওপর প্রতিবাদ করেন কাটলিছড়া প্রাথমিক শিক্ষক সম্মিলনীর সম্পাদক হারান নাথ।এই প্রতিবাদের সুর ধরে তড়িঘড়ি এন আর সি র কাজে নিযুক্ত‍ ৪০ জন শিক্ষক কর্মীরা কাজ বয়কট করে রুম থেকে বেরিয়ে যান এবং চড়া সুরে প্রতিবাদী কন্ঠে স্কুল চত্বর মুখরিত করে তুলেন। শিক্ষক কর্মীদের পাল্টা প্রতিবাদ দেখে এডিসি ফাইরেন রুম থেকে বের হয়ে স্কুলের অফিস রুমে  বসে পড়েন। সাথে ছিলেন কাটলিছড়ার মহকুমা শাসক জেমস আইন্ড,এন আর সি জেলা মাস্টার ট্রেনার এ আর আহমদ।

অপরদিকে তখন বাইরে প্রতিবাদী এন আরসি শিক্ষক কর্মীরা মহকুমাশাসক জেমস আইন্ডকে জানিয়ে দেন যে জেলাশাসক আদিল খানকে আসতে হবে এবংএডিসি ফাইরেনকে ক্ষমা চাইতে হবে।এই বার্তা জেলাশাসক আদিল খানকে জানান কাটলিছড়ার সিভিল এসডিও জেমস আইন্ড।তবে বিলম্ব না করে এক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ সুপার মহনিশ মিশ্রকে সঙ্গে নিয়ে চালমার্স বিদ্যালয়ে ছুটে  আসেন ডিসি আদিল খান।

 

তিনি স্কুলের অধ্যক্ষের চেম্বারে বসে ডেকে পাঠান শিক্ষক সংস্থার নেতৃবৃন্দকে।  শিক্ষক সম্মিলনীর সম্পাদক হারান নাথ,জেলা শিক্ষক সংস্থার সভাপতি রনধীর দাস,জীতেন দেবের সাথে  আলোচনায় বসেন ডিসি আদিল খান। বৈঠকে শিক্ষকরা ডিসিকে জানান, এন আর সিতে এসভিও,আইও রা বকেয়া কাজে ব্যস্ত  থাকা অবস্থায় এডিসি ফাইরেন রুমে প্রবেশ করে চড়া গলায় কটুক্তি ও অশালীন ব্যবহার করেন। আর এতে শিক্ষকদের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে।। তারা প্রতিবাদে কাজ বয়কট করেন।  প্রত্যুত্তরে ডিসি আদিল খান বলেন হাইলাকান্দি জেলার মধ্যে কাটলিছড়া সার্কেলে এখন পর্যন্ত এন আরসি ডাটা এন্ট্রি কাজ মাত্র ৩৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। দিসপুর থেকে কাজের পারফরম্যান্সের জন্য ঘনঘন ম্যাসেজ আসছে।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩১ মের মধ্যে ডাটা এন্ট্রির কাজ শেষ করতে হবে।এন আর সি র ওপর মহল থেকে আমার কাছে কাটলিছড়া সার্কেলের  পারফরম্যান্স দুর্বল হবার কারণ জানতে চাইছে।ফলে আমি ব্যতিব্যস্ত হয়ে এডিসিকে কাজের গতি বাড়াতে কড়া নির্দেশ দিয়েছি। যার ফলে কাজের চাপে এডিসি ডি এল ফাইরেন কটুক্তি করেছেন।এর পুনরাবৃত্তি হবে না বলে এন আর সি কর্মীদের আশ্বাস দেন ডিসি আদিল খান।এতে আশ্বস্ত হয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা পর কাজে হাত দেন শিক্ষক কর্মীরা।ডিসি আদিল খান বলেন, এন আর সির কাজে নিযুক্ত সবাই এক  পরিবারের হয়ে কাজ করছে।এটা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, তাই এন আরসির কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হলে জেলাবাসীর সংগে আমি ও সফল হয়েছি বলে মনে করব।তাছাড়া আলগাপুর, হাইলাকান্দি সার্কেলে ডাটা এন্ট্রির কাজ ৫০/৬০শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে।সেখানে কাটলিছড়া সার্কেলে কি কারণে ডাটা এন্ট্রির কাজ এত পিছিয়ে রয়েছে,অথচ প্রত্যেক কর্মীরা অনেক রাত অবধি কাজ করছেন।বৃহস্পতিবারের মধ্যে ডাটা এন্ট্রি কাজের রিপোর্ট দিসপুর এন আর সি কার্যালয়ে চলে যেতে হবে।এন আরসি কর্মীদের কর্মস্থলে রুমে রুমে গিয়ে শিক্ষকের মত টেবিল চেয়ারে বসে ব্যাপারটি বোঝান ডিসি আদিল খান। ।

 

 

Comments are closed.