Also read in

বন আধিকারিকদের সহায়তায় মালুগ্রাম এলাকা থেকে উদ্ধার করা হল বিষধর সাপ

সাপ উদ্ধারকারী ও সংরক্ষণ কর্মী ত্রিকাল চক্রবর্তী শিলচরের মালুগ্রাম এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক বিষধর সাপকে উদ্ধার করেছেন। সাপটিকে রেড নেকেড কিলব্যাক (red necked keelback – scientific name- Rhabdophis subminiatus) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, এটি একটি অত্যন্ত বিষাক্ত (হেমোটক্সিক) প্রজাতির সাপ যা সাধারণত আসাম, বাংলাদেশ এবং ভুটানের উপক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়।

ত্রিকাল চক্রবর্তী এবং বন কর্মকর্তাদের সহায়তায় ৪ ডিসেম্বর একজন চিকিৎসক ডাঃ রূপাঞ্জলি গুপ্তের বাসা থেকে সেই সাপটিকে উদ্ধার করেন। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলোজি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও।একজন সুপরিচিত সংরক্ষণ কর্মী ত্রিকাল চক্রবর্তী এই সাপটকে উদ্ধার করেন। তিনি প্রায়শই বরাক উপত্যকা থেকে সাপ উদ্ধার করে পুনর্বাসনের জন্য বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে থাকেন।

রেড নেকেড কিলব্যাক, স্থানীয়ভাবে লাল ডোরা সাপ নামে পরিচিত এই সাপ এই এলাকায় ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়, তারা সাধারণত ঝোপ এবং জঙ্গলে বাস করে। “এই সাপগুলি খাবার ও বাসস্থানের সন্ধানে বরাকের ওপার থেকে আসে, তারা শহুরে পরিবেশে বাস করে না, তবে এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল সঙ্কুচিত হয়ে আসছে, তাই তারা এখন শহরাঞ্চলে আসছে, ” বললেন ত্রিকাল চক্রবর্তী।

এখানকার লোকেরা ভয়ে তাদের বাসস্থানের কাছে থাকলে সাপটিকে মারতে পছন্দ করে। উল্লেখ্য যে অনেক বিরল এবং ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির সরীসৃপ এবং সাপের প্রাকৃতিক আবাসস্থল এই অঞ্চল। কয়েক বছর আগে স্থানীয় জেলেরা বিরল প্রজাতির একটি ডলফিনকে মেরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেছিল। “আমি বন কর্মকর্তাদের সহায়তায় সাপগুলো উদ্ধার করে তাদের কাছে হস্তান্তর করি, তারপর ওরা কাছের বনাঞ্চলে ছেড়ে দেয়,” বলেন চক্রবর্তী, যিনি অতীতে কাছাড়ে অজগরসহ অনেক সাপ উদ্ধার করেছিলেন।

Comments are closed.