Also read in

করিমগঞ্জে ভারত-বাংলা সীমান্তে ওয়াগা সীমান্তের মত বিটিং রেট্রিটের প্রস্তাব পাঠাবে রাজ্য: সোনোয়াল

ওয়াঘা একটি সীমান্ত গ্রাম যার মধ্য দিয়ে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসর শহর এবং পাকিস্তান পাঞ্জাবের লাহোর শহরকে যোগ করছে। এই সীমান্তে ১৯৫৯ ইংরেজি থেকে ভারত পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষীদের বিটিং রেট্রিট অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। পাঞ্জাব বেড়াতে গেলে এই অনুষ্ঠান দেখার আগ্রহ থাকে সবারই। আগরতলায় ও আখাউড়া সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীদের আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন ও অবনমন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দিতে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে এ ধরনের অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব অনেকদিনের।

এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রকে এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানো হবে। শনিবার বিধানসভার অধ্যক্ষের বিশেষ উদ্যোগে বরাক উপত্যকার সর্বোপরি বিকাশ নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় দিনব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়; বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল এই তথ্য তুলে ধরেন। বরাক ভ্রমণে টুরিস্টদের আকৃষ্ট করতে খুব শিগগিরই এই প্রস্তাব পাঠানো হবে।

তিনি আরো বলেন, বিজেপি সরকার বরাক এবং ব্রম্মপুত্রের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছেন। “কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, সিপাহী বিদ্রোহে করিমগঞ্জেও ২৬ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছিলেন। ওই ঐতিহাসিক ঘটনার শহীদদের কথা মনে রেখে আমরা করিমগঞ্জেও ওয়াগা সীমান্তের মত বিটিং রেট্রিট অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব পাঠাবো”, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বরাকের বিকাশের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আমরা ইতিমধ্যেই বরাক উপত্যকায় মিনি সেক্রেটারিয়াট স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং কাজ এগিয়ে চলেছে। সরকার ‘নমামি ব্রহ্মপুত্র’ করার পাশাপাশি ‘নমামি বরাক’ অনুষ্ঠান ও করেছে। বরাক উপত্যকার প্রতি কোন ধরনের বৈষম্য করা হবে না বলে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।

আগামীতে করিমগঞ্জ সীমান্তেও ওয়াগা সীমান্তের মত বিটিং রেট্রিট দেখা যাবে, এমনটাই আশা করছে বরাকবাসী।

Comments are closed.