Also read in

কোভিড যোদ্ধা: এবার আক্রান্ত শিলচর মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবের টেকনিশিয়ান

শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাইক্রোবায়োলজি লেবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজারের বেশি সোয়াব স্যাম্পল পরীক্ষা হয়েছে। চিকিৎসক দেবদত্তা ধর থেকে শুরু করে প্রায় ৭০ জন মানুষ চার মাসের বেশি সময় ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। এবার তাদেরই এক যোদ্ধা পজিটিভ হলেন।

ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান দিব্যেন্দু রায় বৃহস্পতিবার পজিটিভ হন। তিনি একজন আসল যোদ্ধা কেননা, কোভিড ওয়ার্ডে ঢুকে পজিটিভ ব্যক্তিদের শরীর থেকে সরাসরি সোয়াব স্যাম্পল সংগ্রহ করতেন। অনেক সময় নাক থেকে সোয়াব স্যাম্পল সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি তাদের উপরেই হাঁচি দিচ্ছেন। এরপরেও তারা থেমে থাকছেন না। জানা গেছে, দিব্যেন্দু রায় একবার তার দায়িত্ব শেষ করে কোয়ারেন্টাইনে দিন কাটিয়ে আবার দায়িত্বে ফিরেছিলেন। তবে দ্বিতীয়বার কোনওভাবে তার ভাইরাসের সংক্রমণ সম্ভব হয় এবং তিনি আক্রান্ত হন। বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড জোনে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শিলচর মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, হাসপাতালের সেন্ট্রাল কম্পোজিট ল্যাবরেটরি বা মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবরেটরির টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করছিলেন দিব্যেন্দু রায়। কাজগুলো বিভিন্ন শিফটে ভাগ করা থাকে, যারা এই কাজে নিযুক্ত হন তারা লম্বা সময়ের জন্য বাড়িতে যেতে পারেন না। প্রথমে টানা কিছুদিন কাজে নিযুক্ত থাকেন, এরপর তাদের নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় তাকে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরেন এবং নিয়মিত সময় বাড়িতে কাটিয়ে আবার কাজে যোগ দেন। পিপিই কিট লাগিয়ে হাজার হাজার মানুষের সোয়াব সংগ্রহ করতে থাকেন। তবে কিভাবে তার শরীরের সংক্রমণ দেখা দিল, এর সূত্র এখনো পাওয়া যায়নি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “এখন এটা খুঁজে বেড়ানোর দিকে আমরা ততটা আগ্রহী নই। তিনি কারো সংস্পর্শে এসেছেন কিনা সেটা দেখতে হবে। পাশাপাশি আমাদের যোদ্ধা যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন এদিকে নজর রাখতে হবে।”

একসময় শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ স্বামী এবং উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত তাকে কোভিড যোদ্ধা হিসেবে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন। ২৯ জুন থেকে তার শিফট শুরু হয়েছিল, এবার হাসপাতালে কিছুদিন বিশ্রাম নেবেন আক্রান্ত কোভিড যোদ্ধাটি। সহকর্মীরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

Comments are closed.