Also read in

অরবিন্দ ভদ্র কিছুটা সুস্থ, স্ত্রী এখনও সংজ্ঞাহীন : সিসিটিভি ফুটেজে ভেসে উঠলো পরিচারিকার সচেতনভাবে পলায়ন দৃশ্য

অবসরপ্রাপ্ত এস বি আই অফিসার অরবিন্দ ভদ্রের জ্ঞান ফিরে এসেছে, তবে তার স্ত্রীর অবস্থা এখনও গুরুতর বলে জানা যায়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে,অরবিন্দ ভদ্র ও তার স্ত্রীকে শনিবার সকালে তাদের ঘরে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ‌প্রতিবেশিরা। সঙ্গে সঙ্গে তাদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদেরকে নেশাজাতীয় খাওয়ানো হয়েছিল বলে হাসপাতালের ডাক্তাররা মনে করেছেন; তাদের দুজনের অবস্থাই গুরুতর ছিল।

একজন ভিজিটর হাসপাতালে তাদের দেখে এসে জানান যে, অরবিন্দ ভদ্র এখন হাঁটতে পারছেন। তবে তাদের সঙ্গে সঠিকভাবে কি ঘটেছিল তা তিনি মনে করতে পারছেন না। অন্যদিকে তার স্ত্রী যিনি উচ্চ রক্তচাপ রোগে আক্রান্ত, এখনও অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছেন।

জানা গেছে, তাদের মেয়ে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বাস করায় ভদ্র ও তার স্ত্রী অম্বিকাপট্টির বাসায় একাই থাকেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তারা অভিযুক্ত পরিচারিকাকে ঘরের কাজে রেখেছিলেন। পাশের একটি পান দোকানের মালিক মিন্টু গোয়ালা ভদ্রকে এই পরিচারিকার সন্ধান দিয়েছিল। তার আগে পরিচারিকাটি তারাপুরে একটি বাড়িতে কাজ করত বলে ওই পরিচারিকা টি জানিয়েছিল।

পুলিশ রবিবার পানের দোকানী মিন্টু গোয়ালাকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মিন্টু গোয়ালা জানায়, অরবিন্দ বাবুর পত্নী ইলা দেবী বেশ কিছুদিন ধরে তাকে কাজের লোক খুজে দেওয়ার অনুরোধ করে আসছিলেন। দিন দশেক আগে ওই মহিলা তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে কাজের লোক প্রয়োজন এমন কোন বাড়ি কি জানা রয়েছে তার। তখন মিন্টু গোয়ালা অরবিন্দ বাবুর বাড়ির ঠিকানা দিয়ে তাকে পাঠায়, ওই মহিলা সম্বন্ধে সে আর কিছুই জানেনা।

এদিকে অরবিন্দ বাবুর বাড়ির সন্দেহভাজন ওই পরিচারিকার এলাকা ছেড়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে অম্বিকাপুর এলাকার এক কলেজের সিসি ক্যামেরায়। তাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে, মেক্সি পরিহিত ঐ মহিলা সচেতনভাবে মুখ এবং শরীর ঢেকে প্রাতঃভ্রমণ কারীদের মত সরে পড়েছেন। ওই ম্যাক্সিটি অরবিন্দ বাবুর দেওয়া- ম্যাক্সি দেখেই তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশের অনুমান ওই পরিচারিকা দাগী অপরাধী।

জানা গেছে, অরবিন্দ ভদ্রের স্ত্রী যে বালা, রিং এবং অন্যান্য সোনাদানা পড়তেন সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবেশিরা ঘরে এসে আলমারি খোলা অবস্থায় পান এবং ঘরের কাজের মেয়েটি ইতিমধ্যে পালিয়ে যায়।

এদিকে পুলিশ বলছে, গৃহকর্তা এবং গৃহকর্ত্রীর জ্ঞান পুরোপুরি না ফিরলে তাদের কি কি মূল্যবান বস্তু চুরি গেছে তা অনুমান করা কষ্টসাধ্য।

Comments are closed.