Also read in

মেডিকেল কলেজের পরিষেবা উন্নতিকরণ এবং কাগজ কল চালুর দাবিতে এসইউসিআই'র ধর্ণা

আজ শিলচরে এস ইউ সি আই ( সি) কাছাড় জেলা কমিটির উদ্যোগে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিউরোলজি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি বিভাগ চালু করা সহ চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি,এন আর সি’র নামে হয়রানি বন্ধ করা, কাগজ কল চালু করা, পাস ফেল প্রথা পুনর্বার চালু করা, স্কুল কলেজের শূণ্য পদে নিয়োগ করা, চাষীদের সার , বীজ, কীটনাশক রেহাই মূল্যে প্রদান করা, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি রোধ করা, ফসলের সহায়ক মূল্য প্রদান করা, শিলচর -সৌরাষ্ট্র মহাসড়কের কাজ সম্পন্ন করা, খাস, সিলিং সারপ্লাস,স্লাম ইত্যাদি জমিতে বসবাসকারীদের জমির পাট্টা প্রদান করা, বরাক উপত্যকার চা শ্রমিকদের মজুরি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সমান করা, মদ, জুয়া ,অশ্লীলতার প্রচার রোধ করা, রাজ্যের বেকারদের কর্মসংস্হানের ব্যাবস্থা করা ইত্যাদি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ লিংক রোড সংলগ্ন এ এস টি সি বাসস্টান্ডের সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে রাঙ্গীরখাড়ি, হাসপাতাল রোড, অম্বিকাপট্টি , প্রেমতলা, শিলংপট্টি, পার্করোড হয়ে উপায়ুক্তের কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে । বিক্ষোভ চলাকালে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক ভবতোষ চক্রবর্তী, প্রাক্তন জেলা সম্পাদক শ্যামদেও কুর্মী, এন আর পাল, মাধব ঘোষ, দুলালী গাঙ্গুলী, জয় সিং ছেত্রী,লক্ষীচরণ আকুড়া প্রমূখ । বক্তারা বলেন যে নির্বাচন এলে কংগ্রেস, বিজেপির নেতারা প্রতিশ্রুতি দেন জনগণের সব সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হয়েই প্রতিশ্রুতি বেমালুম ভুলে যায়। তাই বরাক উপত্যকার প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ জনগণের চিকিৎসার একমাত্র আশ্রয়স্থল শিলচর মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের পঞ্চাশ বছর পরেও নিউরোলজি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি বিভাগ চালু হয় না । যার পরিণতিতে এসব রোগে আক্রান্ত লোকেরা বাধ্য হোন শিলং বা গুয়াহাটিতে ছুটে যেতে । আর যাদের সামর্থ্য থাকে না তারা ধীরে ধীরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন । কিন্তু সরকারের ঘুম ভাঙ্গে না । বরাক উপত্যকার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান পাঁচগ্রাম কাগজ কল খোলার প্রতিশ্রুতিও মিথ্যা আশ্বাসে পরিনত হয়েছে । উপরন্তু আসামের নাগরিকদের এন আর সি’র চূড়ান্ত খসড়ায় নাম এলেও পুনর্বার নোটিশ জারি করে ভেরিফিকেশনের জন্য দূর দুরান্তে ডেকে পাঠানো হচ্ছে । বক্তারা এও বলেন যে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি করা হবে না, কিন্তু জনগণের প্রত্যাশার বিপরীতে গিয়ে মজুতদার, অসাধু ব্যবসায়ী দের স্বার্থ রক্ষাকারী এই সরকার জিনিস পত্রের দাম আকাশছোঁয়া করে রেখেছে । খাস, সিলিং সারপ্লাস, স্লাম ইত্যাদি জমিতে বসবাসকারীদের মধ্যে জমির পাট্টা বিলি করার প্রতিশ্রুতি পালনের কথাও এ সরকার মনে রাখেনি । সরকারি হিসেব বলছে রাজ্যের শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ২২ লক্ষ অথচ প্রতিটি সরকারি কার্যালয়ে ও স্কুল, কলেজে অসংখ্য শূন্য পদ থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে । রাজ্যের সব বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জোরালো দাবিও জানান মিছিলে অংশ নেওয়া জনগণ । বিক্ষোভ শেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি পাঠানো হয় জেলা উপায়ুক্ত মারফত ।

Comments are closed.