Also read in

ট্রাফিক যন্ত্রণা কমাতে শিলচরের যুবকের এক মহতী প্রচেষ্টা

 

অসমের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিলচরের কলেবর দিনে দিনেই বাড়ছে , পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যাও। শহরে গজিয়ে উঠছে নতুন নতুন শপিং মল, গ্রাম গঞ্জ দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসছে শহরের আকর্ষণে। কিন্তু শহরের রাস্তা সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, ফলশ্রুতিতে বাড়ছে যানজট। কখন কোথায় ট্রাফিক জ্যামে কতক্ষণ আটকে থাকতে হবে কেউ বলতে পারে না। ট্রাফিক পুলিশ যখন শহরের রাস্তাকে যানজটমুক্ত করতে গলদঘর্ম হয়ে যাচ্ছে, এই শহরেরই এক যুবক স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছে ওদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে সমস্যা সমাধানে।

এই হচ্ছে ২৭ বৎসর বয়সী কনকপুর এলাকার যুবক আমাদের সত্যব্রত ভট্টাচার্য। অন্য সবার মতো সেও এই শহরেরই বাসিন্দা ; শহরের এই যানজট, পথচলতি মানুষের চলাচলের কষ্ট, ট্রাফিক নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখানো, এ সব কিছুতে সেও দুঃখ পায় ।

“এটা সত্যি আমাদের রাস্তা খুবই সংকীর্ণ, অন্য শহরের তুলনায়- কিন্তু একটু অনুশাসন মেনে ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন না করে আমরা যদি চলি তাহলে এই যানজট সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যায়”, বলল সত্যব্রত। সে জানালো দিনের মধ্যে তিন ঘন্টা সময় সে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সহায়তা করতে নিজেকে নিয়োজিত করে।

” আমি মূলত শিব কলোনি পয়েন্ট, রাঙিরখাড়ি এবং বিল পার – এই স্থানগুলোতে নিজেকে নিয়োজিত রাখি। দিনের বেলা একটা স্থানীয় দোকানে আমি কাজ করি। প্রায় এক বছর ধরে বিকেলের দিকে ৩ ঘণ্টা সময় আমি এই কাজ করে থাকি এবং আমি খুশি যে আমার শহরের জন্য কিছু একটা করছি”, বলল সে।

 

সত্যব্রত, যাকে অনেকে কার্তিক নামেও জানে, শুধুমাত্র স্থানীয় লোকেদের মধ্যে জনপ্রিয় নয়, পুলিশ বিভাগও তার উদ্দীপনা নিয়ে খুবই খুশি। “এই যুবক এগিয়ে এসেছে এক কঠিন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সেবা এই সমাজকে উপহার দেওয়ার জন্য। আমরা খুশি ও যেভাবে যানবাহনগুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে” জানালেন ট্রাফিকের একজন কর্মকর্তা।

এই কাজ করতে করতে সে সবাইকে অভিনন্দনও জানায় এবং এতে তার প্রতি পথচলতি যানবাহন আরোহীদের এক ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। শহরের কয়েকজন বাসিন্দা মত প্রকাশ করেছেন যে, এরকম যদি আরো কিছু যুবক এগিয়ে আসে ট্রাফিক বিভাগের সহায়তায়, তাহলে শহরের রাস্তা অনেকটাই যানজট মুক্ত হবে, মূল্যবান সময় বেঁচে যাবে।

Comments are closed.