Also read in

Young boy slips deep in the lake while roaming around

বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেল কালাইনের এক যুবক। মেঘালয় এবং বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন বলেশ্বর জলপ্রপাতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যায় কালাইন ভাতপাড়া এলাকার ২২ বছরের যুবক তপজ্জুল হোসেন বড়ভূঁইয়া। দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে, এতে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও এসডিআরএফ অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তলিয়ে যাওয়া যুবকটির হদিস পায়নি। প্রয়োজনে এনডিআরএফ এর দল এবার কাজে নামবে বলে জানা গেছে। এদিকে এলাকার মানুষ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন আপাতত বলেশ্বর জলপ্রপাত এলাকায় সাধারণ মানুষের ঘুরতে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।

লকডাউন উঠে যাওয়ার ফলে সম্প্রতি অনেকেই ঘুরতে বেরোনোর প্ল্যান করেছেন। স্থানীয় জনগণের মতে, বেশ কয়েকদিন ধরেই সব নিয়ম ভেঙে বিভিন্ন এলাকার মানুষ বলেশ্বর জলপ্রপাত বা মালিডহর এলাকায় ভিড় করছেন। রবিবার আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ সেখানে জড়ো হন, পুরো পিকনিকের পরিবেশ। কালাইন ভাতপাড়া এলাকার ২২ বছরের যুবক তপজ্জুল হোসেন বড়ভূঁইয়া তার বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে ঘুরতে যায়। জলে স্নান করতে গিয়ে হঠাৎ পা পিছলে স্রোতের মধ্যে পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সে অনেকক্ষণ ধরে জলের মধ্যেই বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে, সেখান থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। তবে জলের স্রোত এত বেশি যে সে সুবিধা করতে পারেনি এবং অন্য কেউ সেখানে নেমে বাঁচানোর সাহস পাননি। কিছুক্ষণ পরেই সে নিখোঁজ হয়।

সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারা দুর্যোগ মোকাবেলা বিভাগের কাছে খবরটি জানান। বিভাগের পক্ষ থেকে শামীম আহমেদ জানিয়েছেন, খবর পাওয়া মাত্র এসডিআরএফ এর দলকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এনডিআরএফ এর কাছে খবর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে এসডিআরএফ চেষ্টা করবে, তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এনডিআরএফকেও কাজে নামতে হবে। স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকায় এভাবে মানুষ জড়ো হচ্ছেন বলে আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। পুলিশের পক্ষ থেকেও সাধারণ মানুষকে বলা হয়েছে তারা যেন এভাবে ভিড় না করেন। তবে রবিবার এই মাত্রা একটু বেশিই ছাড়িয়ে যায়, ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবার থেকে এখানে জনসমাগম আটকানোর কড়া ব্যবস্থা থাকবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই জলপ্রপাত নিয়ে ফলাও করে সংবাদ বেরোনোর পর অনেক বেশি মানুষ আসতে শুরু করেছেন। তারা পুলিশ সুপারের কাছে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছেন, আপাতত এলাকায় যাতে কেউ যেতে না পারেন। তারা বলেন, “লকডাউন উঠে গেলেও এখনও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরেনি, অথচ কিছু মানুষ সব ভুলে দলবল নিয়ে ঘুরতে আসছেন। রবিবার এর মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন, এতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন অতিসত্বর জায়গাটি ভ্রমণের জন্য নিষিদ্ধ করা হোক।”

বলেশ্বর নদীর স্রোত অত্যন্ত বেশি, এছাড়া পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে, জলের মাত্রাও এখন চরমে। নদীটি কালাইন এলাকা হয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যায়। ফলে তলিয়ে যাওয়া যুবককে খুঁজে বের করতে অতিসত্বর ব্যবস্থা নিতে হবে, এমনটাই মনে করছেন এলাকার অনেকেই।

Comments are closed.